শিরোনাম
◈ আরব আমিরাতের বিমানে বোমা হামলা, নিহত ৪০ (ভিডিও) ◈ জাতীয় পার্টির বিভক্তি স্পষ্ট: জিএম কাদেরকে বাদ দিয়েই কাউন্সিলের ডাক ব্যারিস্টার আনিসুলের ◈ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে এখনো সক্রিয় হাসিনার অনেক পুলিশ-সচিব: জয়নুল আবদিন ফারুক (ভিডিও) ◈ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আটক ১,১৩৬ বাংলাদেশি সম্পর্কে পার্লামেন্টে দিলেন ভয়াবহ তথ্য ◈ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তের পথে ◈ নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে পুশইন ◈ যুক্তরাষ্ট্রে আজ শুরু হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর তিন দিনব্যাপী মহাসম্মেলন ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাকিস্তা‌নের ক্রিকেটার, জামিন মিললেও চলছে তদন্ত  ◈ সাকিব‌কে নি‌য়ে ক্রিকেট বোর্ডকে নাটক বন্ধ করতে বললেন খা‌লেদ মাহমুদ সুজন ◈ ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত প্যালেস্টাইনের ফুটবলার পেলে

প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:২৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘরে বসেই জন্ম সনদ বাংলা থেকে ইংরেজিতে করার নিয়ম জানুন

আজকাল অনেকেই পাসপোর্ট, বিদেশে পড়াশোনা বা ভিসার আবেদন করতে গিয়ে বুঝতে পারেন যে, জন্ম নিবন্ধন সনদ ইংরেজিতে না থাকলে সমস্যা হতে পারে। তখন প্রয়োজন পড়ে বাংলায় থাকা জন্ম সনদ ইংরেজিতে রূপান্তরের।

ভয়ের কিছু নেই। আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে এই কাজটি করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পোর্টাল http://bdris.gov.bd-এ গিয়েই এটি খুব সহজে করা যায়। চলুন ধাপে ধাপে জেনে নিই কীভাবে করবেন।

১. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে http://bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে যান। এটি হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত পোর্টাল।

২. জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করুন

সাইটে গিয়ে “জন্ম নিবন্ধন সংশোধন” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ করুন।

৩. নিবন্ধন কার্যালয় নির্বাচন করুন

এরপর আপনাকে সেই অফিস নির্বাচন করতে হবে যেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি হয়েছিল। এটি হতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন। সঠিক জায়গা নির্বাচন নিশ্চিত করুন।

৪. ইংরেজিতে তথ্য প্রদান করুন

যে তথ্যগুলো আপনি ইংরেজিতে রূপান্তর করতে চান—যেমন নিজের নাম, পিতামাতার নাম, ঠিকানা—সেগুলো নির্ভুলভাবে ইংরেজিতে লিখুন। সংশোধনের প্রতিটি ঘরে ক্লিক করে আলাদা আলাদাভাবে লিখতে হবে।

৫. ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন

জন্মস্থান ও বর্তমান ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন। পাশাপাশি, আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কও (father/mother) উল্লেখ করতে হবে।

৬. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন

যে কাগজগুলো লাগবে সেগুলো স্ক্যান করে আপলোড করুন। যেমন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেট
  • পুরানো জন্ম নিবন্ধন সনদ

খেয়াল রাখবেন: প্রতিটি ফাইলের আকার যেন ৯৭৬ কেবি-এর মধ্যে থাকে। বেশি হলে আপলোড হবে না।

৭. পেমেন্ট সম্পন্ন করুন

তথ্য ও ডকুমেন্ট আপলোড করার পর ১০০ টাকার সরকারি ফি দিতে হবে। আপনি নগদ, বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে সহজেই এটি দিতে পারবেন।

৮. আবেদন জমা দিন

সবকিছু ঠিকঠাক করে শেষ ধাপে “আবেদন জমা দিন” বাটনে ক্লিক করুন। জমা দেওয়ার পর একটি রেফারেন্স নম্বর পাবেন, যেটি ভবিষ্যতে দরকার হতে পারে। এটি সংরক্ষণ করে রাখুন।

৯. প্রিন্ট কপি নিয়ে জমা দিন

আবেদন সফলভাবে জমা হলে প্রিন্ট কপি বের করে আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে নির্ধারিত তারিখে জমা দিন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট
  • মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট
  • পুরানো জন্ম নিবন্ধন সনদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়