ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়া এবং ইরানি জনগণের ওপর চলমান দমন-পীড়নে সহায়তাকারী ১৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) মার্কন পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। লক্ষ্যবস্তুদের মধ্যে রয়েছে আর্থিক ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে একটি কোম্পানি ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীকে সাধারণ ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপে সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকলে ইরানকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। ইরানের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রচেষ্টা ও অবৈধ বিদেশি আয় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আমরা জোর দিয়ে বলছি, নিষিদ্ধ সংস্থাগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে ইরানি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেকোনো লেনদেন বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি ডেকে আনে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা যারা করে, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।
আজকের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) দ্বারা গৃহীত হয়েছে, যা নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৯০২ অনুযায়ী ইরানের আর্থিক, পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতকে লক্ষ্যবস্তু করছে। এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা প্রেসিডেন্সিয়াল স্মারকলিপি ২ কার্যকর করে, যার মাধ্যমে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।