শিরোনাম
◈ কালীগঞ্জে মোবাইলে ফোনে কথা বলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত ◈ বোয়ালমারীতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ ◈ প্রশাসনে পদোন্নতির হিড়িক: তিন স্তরে বড় রদবদলের প্রস্তুতি ◈ জুলাই অভ্যুত্থান: রাজধানীর ৫০ থানায় কত মামলা ◈ ’৭১ এবং ’২৪-নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন নাহিদ ইসলাম ◈ জনগণের রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হবে: তারেক রহমান ◈ প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে অগ্রগতি: নয়টি দেশে কার্যক্রম চলমান, শীর্ষে আরব আমিরাত ◈ ট্রাম্পকে সামলাতে মোদিকে গোপনে পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু ◈ আরব আমিরাতের বিমানে বোমা হামলা, নিহত ৪০ (ভিডিও) ◈ জাতীয় পার্টির বিভক্তি স্পষ্ট: জিএম কাদেরকে বাদ দিয়েই কাউন্সিলের ডাক ব্যারিস্টার আনিসুলের

প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

’৭১ এবং ’২৪-নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন নাহিদ ইসলাম

একাত্তর আর রাজনৈতিক বৈধতার একমাত্র মাপকাঠি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, একাত্তর থাকবে ইতিহাসে, রাষ্ট্রের ভিত্তি ও নীতি হিসেবে তা সম্মানিত হবে। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম লেখেন, আমরা আগেও বলেছি—চব্বিশ আসলে একাত্তরেরই ধারাবাহিকতা। ১৯৭১ সালের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল—সমতা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার—তা নতুন করে নিশ্চিত হয়েছে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।

তিনি লেখেন, ‘মুজিববাদ’ ১৯৭১-কে ভারতীয় বয়ানের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেছিল, যা জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান সেই বয়ান ভেঙে দিয়ে দেশকে একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছে।

‘চব্বিশের পর জন্ম নিয়েছে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নতুন প্রজন্ম—যারা এই লড়াইয়ে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, আমরা একাত্তর থেকে অগ্রসর হয়ে এসে পৌঁছেছি চব্বিশে। এখন যারা ‘একাত্তরের পক্ষে বা বিপক্ষে’— এ পুরোনো রাজনৈতিক বিভাজন ফিরিয়ে আনতে চাইছে, তারা দেশকে সেকেলে কাঠামোয় টেনে নিচ্ছে।

তিনি লেখেন, কিন্তু আমরা চব্বিশ থেকে নতুন শুরু চাই—যেখানে এ অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভূত মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। মুজিববাদসহ সব ধরনের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করা এখন রাষ্ট্র ও সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও গণতান্ত্রিক করার অন্যতম দায়িত্ব।

‘একাত্তর থাকবে ইতিহাসে, রাষ্ট্রের ভিত্তি ও নীতি হিসেবে তা সম্মানিত হবে, কিন্তু আর রাজনৈতিক বৈধতার একমাত্র মাপকাঠি হবে না। তেমন ৪৭-ও একইভাবে স্মরণীয় থাকবে, ঐতিহাসিক মর্যাদায়, কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে নয়। এর মানে এই নয় যে আমরা এই ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক করব না—বরং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় ঐতিহাসিক প্রশ্নগুলোর সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে। রাজনীতি এখন হতে হবে চব্বিশের মূল্যবোধ ও আদর্শের ওপর ভিত্তি করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, যারা আবার একাত্তরে ফিরে যেতে চায়, তারা চব্বিশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকেই অস্বীকার করছে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান অনেক রাজনৈতিক দল ও শক্তির জন্য ছিল এক ধরনের প্রায়শ্চিত্ত, যাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু পুরোনো আদর্শিক দ্বন্দ্বে ফিরে গেলে সেই প্রায়শ্চিত্তের মূল্য হারিয়ে যাবে। পুরোনো দ্বৈত রাজনৈতিক কাঠামো পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই—এটাই এখন আমাদের দায়িত্ব।

তিনি আরও লেখেন, এটি মনে রাখা উচিত যে, ২৪ কখনোই প্রতিশোধের আন্দোলন ছিল না। যারা এটিকে প্রতিহিংসার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তারা এর মূল চেতনাকেই ভুলভাবে বুঝেছে। ২৪ হলো জাতীয় ঐক্য ও পুনর্মিলনের এক পরিসর। এর চেতনা নিহিত ভবিষ্যৎ নির্মাণে—যে ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে ঐক্যমত, সহানুভূতি ও সমবায়ের ভিত্তিতে, প্রতিশোধের রাজনীতির নয়। অনুবাদ: আরটিভি অনলাইন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়