সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসার আগেই সেনাবাহিনী ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং বিষয়টি সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান ও তদন্তের আওতায় নেয়।
অভিযোগকারী নারী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সাবেক স্ত্রী, যিনি নিজে এক সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে কারাগারে দণ্ড ভোগ করছেন।
আইএসপিআর জানায়, ঘটনাটির সংবেদনশীলতা ও অভিযুক্ত কর্মকর্তার উচ্চ পদ বিবেচনায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষ্যে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আইনানুগভাবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়, কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে তিনি সেনাবাহিনীর চিকিৎসা, বাসস্থান বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন না। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, উক্ত প্রাক্তন কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতি-বিবর্জিত কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী তার সদস্যদের বিরুদ্ধে কৃত সকল অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে এবং অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।