শিরোনাম
◈ কারামুক্ত হলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার ◈ তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জোরালো ◈ ধামরাইয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু ◈ বাংলাদেশে চট্টগ্রাম-ঢাকা জ্বালানি পাইপলাইনের উদ্বোধন: ১২ ঘণ্টায় পৌঁছাবে ৫০ লাখ লিটার তেল ◈ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাংলাদেশের জন্য ছিল বড় মানসিক প্রেরণা: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ◈ কোন সরকার পার পায় নাই, যেখানে আমার পরিবারের সদস্য নাই: হুম্মাম কাদের (ভিডিও) ◈ শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ বনানীর সিসা বারে যুবক হত্যা; সিসিটিভিতে ধরা পড়লো মর্মান্তিক দৃশ্য (ভিডিও) ◈ মানুষ স্বস্তির সঙ্গে যাতে সঠিক সেবা পায় এজন্য অটোমেটেড ভূমি সেবা চালু করা হচ্ছে : ভূমি উপদেষ্টা ◈ এনসিপিতে যোগ দেয়ার প্রশ্নে যা জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৫ রাত
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাংলাদেশের জন্য ছিল বড় মানসিক প্রেরণা: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

মনিরুল ইসলাম: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের গত বছরের ঢাকা সফর সদ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের সময়ে বাংলাদেশকে বড় ধরনের মানসিক প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়া সফরকালে বুধবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামা-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস জানান, আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর বাংলাদেশের কঠিন সময়ে জাতির মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। বারনামা আজ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ইউনূস সাক্ষাৎকারে স্মরণ করেন, কীভাবে জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান ঘটে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি বলেন, সে সময় বাংলাদেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল, যেন ‘ম্যাগনিচিউড ৯ ভূমিকম্পে আঘাত হানা’র মতো পরিস্থিতি সবকিছু ভেঙে পড়েছিল, ছিল তীব্র বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভ।

ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের এমন এক কঠিন সময়ে দেশ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শুধু বিশৃঙ্খলা দূর করাই নয়, সবকিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হয়েছিল। সেই সময়েই সুখবর এলো— মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে সফরে আসছেন।”

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আনোয়ার ইব্রাহিম ছিলেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি নেতা হিসেবে বাংলাদেশ সফরকারী। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার এই সফর জনগণের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছিল, কারণ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের কাছে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ একটি দেশ যেখানে বহু বাংলাদেশি বসবাস করেন।

“তিনি এসে বললেন, ‘আমরা তোমাদের পাশে আছি’— এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ ছিল,” বলেন নোবেল বিজয়ী ইউনূস।

১৯৮৩ সালে দরিদ্র বিশেষত নারীদের জন্য জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ইউনূস। মালয়েশিয়া ছিল বাংলাদেশের বাইরে প্রথম দেশ যেখানে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল গ্রহণ করা হয়— আমানাহ ইখতিয়ার মালয়েশিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

ইউনূস ১১–১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফরে যান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রতিরক্ষা খাতসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেশটির বিভিন্ন খাতের নেতৃবৃন্দ ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা খুব সন্তুষ্ট। সবাই সময় দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন।” তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং পারস্পরিক উপকারী ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে, যা ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিদ্যমান বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।

২০২৪ সালে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ৫.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৩.৩৫ বিলিয়ন রিঙ্গিত (২.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ও রপ্তানি গন্তব্য। মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য, আর আমদানি পণ্য হলো টেক্সটাইল, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও প্রস্তুত পণ্য।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়