হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গত এক বছরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। “যার নিজেরই স্বাস্থ্যের ঠিক নেই, যিনি ক্যানসারের রোগী এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী, তাকে বানানো হয়েছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। যার যেখানে অভিজ্ঞতা, তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হলে অনেক সংস্কার দেখা যেত,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি থাকলেও দলটি সেটি রক্ষা করতে পারেনি। জুলাই-আগস্টে বিএনপি, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদ একসঙ্গে লড়াই করে রাস্তায় নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জনতার হাতে বিতাড়িত হয়। এর ফলেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে ফরিদপুরে সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, বরং সুবিধা পেয়েছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে তিনি ফরিদপুর-ভাঙ্গা ৩২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা মহাসড়কের কথা উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে রাশেদ খাঁন বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা পরিবর্তনের আশা করেছিলাম। কিন্তু এক বছরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি, দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনে এখনও আওয়ামী লীগের প্রভাব বহাল রয়েছে।”
তিনি ছাত্র সমন্বয়কদেরও সমালোচনা করে বলেন, “দপ্তরে প্রতিনিধি হওয়ার পর অনেকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। সরকার তাদের দল করার পরামর্শ দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।”
রাশেদ খাঁন বলেন, “দেশে যেভাবে পরিস্থিতি চলছে, তাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়—এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। তারা ফরিদপুরের নামেই নতুন বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান।