আধুনিক অবকাঠামো ও বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত সিঙ্গাপুর ভ্রমণপ্রেমী ও প্রবাসে স্থায়ী হতে ইচ্ছুকদের কাছে সবসময়ই জনপ্রিয়। এবার দেশটি দিচ্ছে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ, যার মাধ্যমে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও খুলে যাবে। আর এই আবেদন ফি মাত্র ছয় হাজার ৯০০ রুপিরও কম। তবে শর্ত আছে বেশ কিছু। খবর এনডিটিভির।
যারা আবেদন করতে পারবেন: সিঙ্গাপুরের পিআর হলো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বিদেশিদের স্থায়ীভাবে সেখানে বসবাসের অনুমতি। অনুমোদিত হলে আবেদনকারীকে নীল রঙের পরিচয়পত্র দেয়া হয়।
আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে-সিঙ্গাপুরে অন্তত দুই বছর বসবাসরত শিক্ষার্থী, ২১ বছরের কম বয়সী যাদের বাবা-মা সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর রয়েছে, সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর ধারকের স্ত্রী/স্বামী, সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর ধারকের নির্ভরশীল, অন্তত ১ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার (প্রায় ৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা) বিনিয়োগকারী বিদেশি, দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কর্মরত এবং এম্প্লোয়ার পাস, এস পাস বা নির্দিষ্ট অন্যান্য পাসধারী কর্মী।
প্রয়োজনীয় নথি: পাসপোর্টের বায়োডাটা পৃষ্ঠা, বৈধ ভ্রমণ নথি, বৈধ ইমিগ্রেশন পাস, এমপ্লয়মেন্ট পাস (প্রযোজ্য হলে), আবেদনকারীর ছবি, জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদ, শেষ ছয় মাসের বেতন স্লিপ, স্পন্সরের পরিচয়পত্র, আগের নিয়োগদাতার সুপারিশপত্র, বিয়ের সনদ (প্রযোজ্য হলে), জীবনসঙ্গীর শিক্ষাগত ও কর্মসংক্রান্ত নথি। ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার সব নথির সঙ্গে নোটারি অনুবাদ থাকতে হবে।
আবেদনের ধাপ:
১. ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (আইসিএ)–এর সরকারি ই-সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে যোগ্যতা যাচাই
২. সিংপাস দিয়ে লগইন
৩. অনলাইন ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় নথি আপলোড
৪. ফেরতযোগ্য নয় এমন এসজিডি ১০০ (প্রায় ৬,৮৩৪ টাকা) ফি প্রদান
৫. সাধারণত ৪-৬ মাসে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তবে সময় ভিন্ন হতে পারে
৬. অনুমোদনের পর পুনঃপ্রবেশের অনুমতিপত্র (Re-entry Permit) ও জাতীয় পরিচয়পত্র (NRIC) সংগ্রহসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।