সূত্র-ওয়েবএমডি: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে শর্করাজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে শর্করা একেবারে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। দেহের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের জন্য শর্করা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে কোন শর্করা বেছে নেওয়া ভালো, জানেন কি?
কিসে আছে শর্করা
শুধু চাল, আটা, চিনি, মুড়ি বা আলুতেই নয়, প্রাকৃতিকভাবে আরও বহু খাবার বা খাদ্য উপকরণে শর্করা থাকে। এই তালিকায় আছে বিভিন্ন শস্যদানা, ফলমূল ও সবজিও। প্রক্রিয়াজাত বহু খাবারেও থাকে শর্করা। সোডা বা কোমল পানীয়, চিপস, পিৎজা, পাস্তা, নুডলস, পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, চকলেট, মিষ্টি, মিষ্টি দই প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে।
খারাপ শর্করা
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয় থেকে পাওয়া শর্করা আছে এই তালিকায়। সাদা চাল, সাদা আটা, ময়দা কিংবা চিনি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার থেকেই আপনি পাবেন এই খারাপ শর্করা। এ ধরনের খাবারের শর্করা আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এটা আদতে ক্ষতিকর। খারাপ শর্করা গ্রহণের ফলে দেহের বিভিন্ন স্থানে সহজে চর্বি জমা হয়।
ভালো শর্করা
হোল গ্রেইন বা গোটা শস্যদানা, ফলমূল এবং সবজির শর্করা আমাদের জন্য ভালো। গোটা শস্যদানার মধ্যে আছে লাল চাল, লাল আটা, ওটস, কিনোয়া প্রভৃতি। ভালো শর্করা হুট করে রক্তের সুগার বাড়িয়ে দেয় না। ফলে শরীর থাকে সুস্থ। অনেকে কর্নফ্লেকস বা সিরিয়াল খান। এসব কেনার সময় খেয়াল করুন, গোটা শস্য দিয়ে তৈরি কি না।
এ ধরনের খাবার হজম হতে সময় লাগে বলে পেট ভরা থাকে লম্বা সময় পর্যন্ত। তাই যখন-তখন অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবল ইচ্ছাও জেগে ওঠে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
আরও যে কারণে খাবেন ভালো শর্করা
রোজকার খাদ্যতালিকায় শর্করার পরিমাণ অতিরিক্ত কমিয়ে দেওয়া কিংবা একেবারেই বাদ দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত নয়। বরং স্বাস্থ্যকর শর্করা বেছে নিন। দেহের সব কর্মকাণ্ডের জন্য যে শক্তি লাগে, তার একটা বড় অংশ যোগাতে প্রয়োজন হয় শর্করা। সেই শর্করা যখন আপনি স্বাস্থ্যকর উৎস থেকে নেবেন, তখন বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমবে।
খেয়াল রাখুন
•কেনাকাটার সময় কোনো খাবারের কৌটার গায়ে সুগার ফ্রি বা লো ফ্যাট লেখা দেখেই সেটিকে স্বাস্থ্যকর ধরে নেবেন না। পুষ্টিমান পড়ে দেখুন। আপনার জন্য তা স্বাস্থ্যকর হবে কি না, সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
•যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে প্রাকৃতিক খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
•ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মিষ্টি স্বাদের ফলমূল কম পরিমাণে খাওয়াই ভালো। ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে এসব ফল ঠিক কী পরিমাণে গ্রহণ করা নিরাপদ, তা একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নেওয়া আবশ্যক। অনুবাদ: প্রথম আলো