শিরোনাম
◈ টেস্টে ভার‌তের নিম্নগামী পারফরম্যান্স! কোচ গম্ভীরের উপর আস্থা হারাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড ?  ◈ আবার আ‌র্জেন্টিনা -ব্রা‌জিল মু‌খোমু‌খি ◈ সেন্ট মার্টিনে ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল শুরু, পর্যটকদের জন্য রাতযাপনের সুবিধা থাকবে ◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিটনেস–রেজিস্ট্রি ছাড়াই চালানোর চাপ, শতবর্ষী পিএস মাহসুদ নিয়ে বাড়ছে বিতর্ক

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটন সার্ভিস হিসেবে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার চালুর উদ্যোগ নেয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

গত ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় শতবর্ষী এ জাহাজটি। বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ঢাকা থেকে বরিশাল ছেড়ে যাবে নৌযানটি। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও প্যাডেল স্টিমারের ভাড়া নির্ধারণ করা যায়নি। আগাম টিকিট বুকিংও আশানুরূপ হয়নি। মাত্র তিন-চারজন যাত্রী বুকিং করায় উদ্বোধনী যাত্রা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। সূত্র: বণিক বার্তা 

ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়া এবং যাত্রী সংকটে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদের উদ্বোধনী যাত্রা বাতিল হয়েছে। পর্যটন সার্ভিস হিসেবে গতকাল স্টিমারটির ঢাকা-বরিশাল নৌপথে আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমারটি ফিটনেস সনদ ও গেজেট ছাড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই নৌযানটি পানিতে ভাসানো হয়েছে বলে দাবি নৌ আইন বিশ্লেষকদের।

শিগগিরই জাহাজটি বেসরকারি পর্যটন খাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনাকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি। এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানায়, ‘ঢাকা-বরিশাল রুট অনেক দীর্ঘ পথ, এত দূরের পথ ভ্রমণ করার সক্ষমতা জাহাজটির নেই। এ কারণে ২১ নভেম্বর প্রথম যাত্রায়ও আমাদের টার্গেট ছিল জাহাজটি চাঁদপুর টার্মিনালে বেশ কিছুক্ষণ বিরতি দেয়ার পর বরিশালের উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা করবে। পরবর্তী সময়ে নৌযানটি বেসরকারি পর্যটন শিল্পের কাছে দেয়া হবে। এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে জাহাজটি বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

সূত্র আরো জানায়, বিনিয়োগকারীদের ভাষ্য, ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে জাহাজটি দিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। তবে এটি ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুর অথবা পদ্মা সেতুর আশপাশে দিনব্যাপী বা অর্ধদিন চালাতে পারলে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। এতে পর্যটন ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ দুই উদ্দেশ্যই সফল হবে। বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবের আলোকেই সরকার বিভিন্ন শর্ত বেঁধে দেবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, গতকাল পিএস মাহসুদের প্রথম যাত্রার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বৈধ যাতায়াতের অনুমতি মেলেনি নৌযানটির। এ নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানায়, এর আগেও সরকার শতবর্ষী নৌযানটি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দুই ট্রিপ চালানোর পর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের (ডিওএস) আপত্তির কারণে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া, জাহাজটি বন্ধ করার পেছনে যাত্রী সংকট ও অতিরিক্ত জ্বালানি খরচের বিষয়টিও ছিল বলে জানায় সূত্র।

তিন বছর বন্ধ থাকার পর নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার আগ্রহে বিআইডব্লিউটিসি নতুন করে শতবর্ষী নৌযানটি চালানোর উদ্যোগ নেয়। এজন্য ডিওএসের কাছে পিএস মাহসুদের ফিটনেস-সংক্রান্ত সনদ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। ডিওএস নৌযানটিতে ২১ ধরনের ত্রুটির বিষয়ে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিসিকে অবহিত করে।

পরে বিআইডব্লিউটিসি ত্রুটিগুলো সংশোধন করে জাহাজটির ফিটনেস ও চলাচলের অনুমতি চেয়ে ডিওএসের কাছে পুনরায় চিঠি লেখে। ডিওএসের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মোহাম্মদ এহতেছানুল হক ফকির জাহাজটির বিস্তারিত খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে গত ২৩ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটিতে যেসব ত্রুটি রয়েছে তার বেশির ভাগই সংশোধন করা হয়েছে। তবে নৌযানটির নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট, সেফটি অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং, লাইভ সেভিং ইকুইপমেন্ট, স্ট্রাকচার (হাল কন্ডিশন) ত্রুটি সার্টিফিকেশন ও সরকারি ফি-গুলো বার্ষিক সার্ভের সময় চেক করা হয়ে থাকে। কিন্তু ওই নৌযানটির অনেক দিন যাবত হালনাগাদ সার্ভে সদন নেই।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নৌযানটির নির্মাণকাল ১৯২৩, কলকাতা। দ্য ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ (আইএসও)-এর বিধি ৩০(১) অনুযায়ী নৌযানটির ৪০ বছরের অধিক বয়স হওয়ায় চলাচলের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার, সদরঘাট, ঢাকা ওই নৌযানটি চলাচলের অনুমতি দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে নৌযানটি চলাচলের উপযোগী হলেও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা নির্দেশনা প্রয়োজন।

নৌ আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কপথে চলাচলের জন্য যেমন বিআরটিএ থেকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস নিতে হয়, তেমনি নৌপথে চলাচলের জন্য ডিওএস থেকে নৌযানের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ নিতে হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা অথবা সচিবের মৌখিক বা লিখিত কোনো নির্দেশে যেমন কোনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস সনদ হয় না, তেমনি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কিংবা অন্য কোনো কর্মকর্তার লিখিত বা মৌখিক নির্দেশে নৌযানের রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস দেয়ার সুযোগ নেই। ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন দেয়ার একমাত্র অথরিটি নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর।

এ নিয়ে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মির্জা সাইফুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা নৌযানটি সার্ভে করেছি। এটি চলাচল উপযোগী। তবে শতবর্ষী হওয়ায় আইন অনুযায়ী চলাচলের অনুমতি দেয়া যায় না। যেহেতু নৌযানটি ব্যতিক্রমী ঐতিহ্যের অংশ, তাই আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়েছি কীভাবে এর ফিটনেস দেয়া যায়। এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো আমরা পাইনি।’

পিএস মাহসুদের চলাচলের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিআইডব্লিউটিসির দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌আমরা এটা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু জাহাজটি চালানোর আইনি কোনো বৈধতা নেই।’

যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় ভবিষ্যতে নানাবিধ জটিলতা তৈরি হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘‌কোনো জাহাজ চলাচলের আগে যেমন রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ নিতে হয়, একইভাবে প্রতি বছর জাহাজটি সার্ভে করে তার ফিটনেস রিনিউ করতে হয়। এখন মন্ত্রণালয় জোর করে আইন অমান্য করে জাহাজটি চালাচ্ছে। যখন এটা বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের হাতে যাবে তখন তো আইনি জটিলতা আরো বাড়বে। এক বছর পরই জাহাজটি নতুন করে সার্ভে করার প্রয়োজন হবে। ফিবছর সার্ভে না করলে তো জাহাজটির নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেবে। এতে করে আগামী দিনগুলোতে সরকার কিংবা বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য জাহাজ পরিচালনা আরো জটিল হয়ে পড়বে এবং এ কারণে স্থায়ীভাবে নৌযানটি বন্ধ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’

পিএস মাহসুদের ফিটনেস সনদ না থাকার বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‌এ নৌযানটির ফিটনেস সনদের প্রয়োজন নেই। দ্য ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ধারা-৩২ অনুযায়ী নৌযানটি পর্যটনের জন্য চলাচল করতে পারবে। আমরা জাহাজটি বাণিজ্যিকভাবে চালাচ্ছি না, ঐতিহ্য রক্ষায় পর্যটনের জন্য চালাচ্ছি। এতে আইনি কোনো বাধা নেই।’

তবে নৌ আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএসওর ৩২ ধারায় পর্যটনের জন্য শতবর্ষী পুরনো জাহাজ চলাচলের অনুমতি-সংক্রান্ত কোনো কথা বলা নেই। বরং সেখানে বলা আছে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নৌযান বাংলাদেশে চলার ক্ষেত্রে সে দেশের রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট বাংলাদেশ সরকার আমলে নেয়ার বিধান প্রসঙ্গে। এ আইনটি পিএস মাহসুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৩২ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে একটি জাহাজ চলাচল করছে, সে জাহাজটি বাংলাদেশে চলাচল করার ক্ষেত্রে ওই দেশের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ বাংলাদেশ সরকার কী শর্তে আমলে নিতে পারে এবং সেক্ষেত্রে কী প্রক্রিয়া হবে তা নিয়ে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আইন বিশ্লেষকরা বলেন, কেউ একজন ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ নৌযান কিনে এনেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে জাহাজ চালাতে হলে রেজিস্ট্রেশন এবং ফিটনেস সনদ প্রয়োজন। তো ওই নৌযানটি ভারতের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ নিয়েছে। এখন ভারতের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ বাংলাদেশে কার্যকর কিনা সে বিষয়ে বলা হয়েছে ৩২ ধারায়। এক্ষেত্রে নানা শর্ত আছে। সেসব শর্ত পূরণ করার পর সরকার যদি মনে করে ভারতের কাগজপত্র গ্রহণযোগ্য, তাহলে গেজেট প্রকাশ করে জানিয়ে দিতে হবে, এ নির্দিষ্ট নৌযানটি ভিন্ন দেশের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ নিয়ে বাংলাদেশে চলতে পারবে। তবে ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হলেই পরের বছর বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর থেকে ফিটনেস সনদ নিতে হবে। যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয়, ৩২ ধারা অনুযায়ী পিএস মাহসুদ চলাচল করতে পারবে, সে ক্ষেত্রেও তো গেজেট প্রকাশ করে বিষয়টি সরকারকে ঘোষণা করতে হবে। গেজেট ছাড়া পিএস মাহসুদ চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি।

আইনি এ বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বলা হয়েছে পিএস মাহসুদ আমাদের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী জাহাজ। এটি বাণিজ্যিক চলাচল করবে না। ঐতিহ্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে স্বল্প দূরত্বে পর্যটকদের জন্য চলাচল করবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশই আমাদের জন্য আইন। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।’

দ্য ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬ ধারা ৩০ (১) অনুযায়ী একটি নৌযানের বৈধতা বা রেজিস্ট্রির মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪০ বছর। এরপর নৌযানটি অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলের বৈধতা রাখে না। ধারা ৩৩-এ বলা হয়েছে, সার্ভে ও রেজিস্ট্রি সনদ ছাড়া কোনো অভ্যন্তরীণ নৌযান অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল করবে না।

আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, পিএস মাহসুদ ৩২ ধারা অনুযায়ী চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলেও এক্ষেত্রে গেজেট লাগবে। পিএস মাহসুদ চলতে পারে আইএসওর ৭৬ ধারা অনুযায়ী। কোনো ঐতিহ্যবাহী কিংবা বিশেষ নৌযান মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও চালানোর আইনি প্রক্রিয়া এটাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়