দুই দিন টানা পতনের পর আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা বেড়েছে স্বর্ণের দাম। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সময় বিকাল ৫টা ৪৮ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম এক শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। এতে মূল্য দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি চার হাজার ১৩২ দশমিক ৭৬ ডলার। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এছাড়া, ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচার দুই শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৪৫ দশমিক ৬০ ডলার।
গত সোমবার স্বর্ণের দাম সর্বকালের রেকর্ড চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে পৌঁছালেও পরের দু দিন দর পতন হয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় এক ধাক্কায় পাঁচ শতাংশ মূল্য কমে, যা ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ পতন।
বিশ্বে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদ অর্জনের দিকে। এখন সবাই অপেক্ষা করছে শুক্রবার প্রকাশিতব্য মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের জন্য।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক ধীরগতি, মার্কিক সুদের হার কমার প্রত্যাশা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমবর্ধমান ক্রয়।
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন শুক্রবারের মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) দিকে, যা ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) পরবর্তী নীতি নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরে মূল মুদ্রাস্ফীতি ৩ দশমিক ১ শতাংশে স্থির ছিল।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফেড ইতোমধ্যে ২৫ বেসিস পয়েন্ট হারে সুদ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ডিসেম্বরেও আরেক দফা কমানো হতে পারে। সুদের হার কমলে সাধারণত সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।
জেপি মরগান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ প্রান্তিকে স্বর্ণের গড় দাম প্রতি আউন্সে পাঁচ হাজার ৫৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অন্য মূল্যবান ধাতুর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্পট সিলভার ১ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি ৪৯ দশমিক ০৭ ডলার, প্লাটিনাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি এক হাজার ৬২৯ দশমিক ৪৪ ডলার, আর প্যালাডিয়াম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি এক হাজার ৪৫৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।