বিশ্ববাজারে তেলের দাম এক লাফে ৫ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায় রাশিয়ার প্রধান তেল শিল্পের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৬৫ দশমিক ৭৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৫.২ শতাংশ বেড়ে ৬১.৫৩ ডলার হয়েছে।
ট্রাম্প রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েল-এর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার শান্তি আলোচনা কোথাও এগোচ্ছে না, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যার ফলে বাজারে তেলের দাম দ্রুত বেড়ে গেছে।
এদিকে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে রুশ তেল কেনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাচ্ছে ভারত। শিল্প সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ভারতই রুশ তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক হয়ে ওঠে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটি গড়ে দৈনিক প্রায় ১৭ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।
তবে এই রুশ তেল ইস্যুই এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্ধেকই এই তেল আমদানির জন্য আরোপ করেছেন।
সূত্র জানায়, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ‘বড় পরিসরে কমানো বা পুরোপুরি বন্ধ করার’ পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পুনর্বিন্যাস চলছে এবং রিলায়েন্স ভারত সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে। সূত্র: এএফপি