শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:১৬ রাত
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, যেভাবে ধরা পড়ে ডোম আবু সাঈদ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডোম আবু সাঈদকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘ্টনায় বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে আবু সাঈদ।

আবু সাঈদ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন ও শিরিনা আক্তারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধারণা করা হচ্ছে গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। 

তিনি আরও জানান, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য এক তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে যখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত শুরু করেন তখনই তিনি অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ্য করেন। 

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, পরদিন সকালে যখন ময়নাতদন্ত হয় তখন চিকিৎসকরা মৃতদেহের উপর পাশবিক নির্যাতন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ডোমকে গ্রেফতার করে। 

তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এন এম আল মামুন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের সময় মরদেহে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ডোমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা হয়েছে। আসামি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলকজবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার মধ্যরাতে (১৯ অক্টোবর) হালুয়াঘাটের একটি গ্রামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্সের এই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়