কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী কালীপুর ইউনিয়নের পুর্ব কোকদন্ডী এলাকার ব্যবসায়ী নুর আহমদ প্রকাশ দৌলত খান (৫৮) এর লাশ ১৮ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে ।
বৃহস্পতিবার (২৩অক্টোবর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশার (ভূমি) মোঃ ওমর সানী আকন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ উত্তোলন করে পোষ্ট মার্ডাম প্রেরন করেন।
সুত্র মতে , গত ৫ অক্টোবর রাতে দোকানে মারা যায়,কালীপুরের রামদাশ মুন্সির হাটের ব্যবসায়ী নুর আহমদ প্রকাশ দৌলত খান (৫৮)।পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে তাকে দাফন কালে শরীলে আঘাতের চিহ্ন এবং দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ মান্নান (৩০) দোকানের মালিকের মুত্যুর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেলে সন্দেহ হয় । তারই প্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর নিহতের মেয়ে মর্জিনা আক্তার বাদী হয়ে দোকানের কর্মচারী মোঃ মান্নানকে প্রধান আসামি করে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন।
আদালতের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেয়ের দেওয়া অভিযোগটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে মামলাটি রেকর্ড পুর্বক লাশ উত্তোলন , সুরত হাল তৈরি ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। থানা থেকে উক্ত মামলার তদন্তকারি হিসাবে রামদাশ হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচীকে নিয়োগ করে । লাশ উত্তোলন পুর্বক ময়না তদন্তের নির্দেশ দিলে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৮দিন পুর্বে মুত্যুবরণকারি নুর আহমদ প্রকাশ দৌলত খানের লাশ উত্তোলন করা হয় বলে।
এদিকে নিহতের মেয়ে মর্জিনা আক্তার দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেন, বিগত দুই মাস পূর্বে সাতকানিয়ার ছদাহা আফজল নগরের আবদুল নবীর ছেলে মোহাম্মদ মান্নান (৩০) দোকান কর্মচারী নিয়োগ দেন । দোকানে মাইক, সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং, ভাড়ার ব্যবসা ছিল। দোকান মালিক নুর আহমদ ও কর্মচারী মোহাম্মদ মন্নান দোকান ঘরে রাত যাপন করতেন । বিয়ের অনুষ্ঠান, দুর্গা পূজার সময় ব্যবসায়ীর প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় ও পরিবারের ১ ভরি স্বর্ণ দোকানে রক্ষিত ছিল। সেগুলো আত্নসাৎ করতে তার পিতাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে কালীপুরের রামদাশ মুন্সির হাটের ব্যবসায়ী নুর আহমদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আদালতের নির্দেশে মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়।
মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা রামদাশ হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচী লাশ উত্তোলনের ব্যবস্থা করেন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত লাশ চমেক থেকে ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হয়েছে রামদাশ হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচী জানান ।