শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া সেই বিচারপতির পদত্যাগ ◈ ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক পুনর্গঠনে সতর্ক দৃষ্টিতে ভারত ◈ দে‌শের ক্রিকেট সাম‌নে এ‌গি‌য়ে নি‌তে সবাইকে ক্ষুধার্ত হতে হবে পারফর্ম করার জন্য : পাইলট ◈ জয় পে‌লো না বা‌র্সেলোনা, ভ্যালেকানোর সঙ্গে ড্র ক‌রেই মাঠ ছাড়‌লো  ◈ স্বপ্নভঙ্গের পর শুরু হয় হাতাহাতি, কথা কাটাকাটি, মাঠে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় জড়াল মেসির মিয়ামি! ◈ স্পনসর ‌ড্রিম-১১ হারিয়ে ঝা‌মেলায় ভারতীয় বোর্ড! নতুন চুক্তিতে আরও লাভের আশায় বিসিসিআই ◈ ই‌ডেন গা‌র্ডেন্সে নয়, লিও‌নেল মে‌সি আস‌ছেন কলকাতার যুবভারতী স্টে‌ডিয়া‌মে  ◈ হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ◈ ফোর্বসের তালিকায় এশিয়ায় শীর্ষ ১০০ স্টার্টআপে বাংলাদেশের পাঠাও ও সম্ভব ◈ বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াতে চায় আরাকান আর্মি 

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:২৪ রাত
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ ব্যাংকে জমা টাকাই এখন দুঃস্বপ্ন, গ্রাহকরা ফিরছেন খালি হাতে

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক লুটপাটের খেসারত এখন দিতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। বহু ব্যাংকে জমা রাখা গচ্ছিত অর্থ তুলতে পারছেন না সাধারণ গ্রাহকরা। পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক কার্যত নামেমাত্র টিকে আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম, লুটপাট, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের উদাসীনতার ফলেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একসময় বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সহায়তা দিলেও এখন সেই সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মতো একাধিক ব্যাংক কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে।

এই ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা এখন চরম দুর্ভোগে। কেউ কয়েক হাজার টাকার বেশি তুলতে পারছেন না, আবার অনেকে কোনো টাকা তুলতেই পারছেন না। রাজধানীর মতিঝিল, হাটখোলা, বনানী ও মিরপুরের বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিনই গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু টাকা না পেয়ে তারা ক্ষোভ, হতাশা আর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

মতিঝিলের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক আবেগে ভেঙে পড়ে বলেন, ছেলের স্কুল ফি দিতে এসেছিলাম, কিন্তু টাকা পেলাম না। ব্যাংকের লোকজন শুধু কাল-পরশুর আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে ইউনিয়ন ব্যাংকের হাটখোলা শাখায় দেখা গেছে, গ্রাহকদের ভিড় থাকলেও কর্মকর্তারা অসহায়ভাবে জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা বন্ধ করায় এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা কোনো অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না। অনেক কর্মকর্তা এমনকি নিজেদের বেতনও পাচ্ছেন না।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংক খাতের এই সংকট একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর রাজনৈতিক প্রভাব, খেলাপি ঋণ, কাগুজে ব্যবসায়ীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং বড় ধরনের দুর্নীতির কারণে এখন এই দশা। 

বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য বলছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধাপে ধাপে মার্জার ও সংস্কারের আওতায় আনা হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু তাতে সাধারণ গ্রাহকের দুর্ভোগ কমছে না। প্রতিদিন তারা ব্যাংকে গিয়ে আশাহত হয়ে ফিরছেন, জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পেরে অনেকেই ধারদেনায় ডুবে যাচ্ছেন। সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়