শিরোনাম
◈ ভারতীয় উদ্যোক্তারা মহাদুশ্চিন্তায়, ‘কীভাবে শ্রমিকদের বেতন দেব?’ ◈ নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ জরুরি অবস্থা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত নই: আইন উপদেষ্টা ◈ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত ◈ পুতুলের সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে ◈ আর্সেনালের বিরু‌দ্ধে  লিভারপু‌লের ক‌ষ্টের জয় ◈ রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ ◈ সাংবাদিকের লাশ মিলল রূপসা সেতুর নিচে, স্ত্রী নিখোঁজ ◈ #TrumpIsDead গুজব উড়িয়ে ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া: “জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি” ◈ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যে মারাত্মক ঝড় বয়ে যাচ্ছে এতে অর্থনীতি-রাজনীতি-সমাজ সবকিছু বিপর্যস্ত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:১৮ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া সেই বিচারপতির পদত্যাগ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি রাষ্ট্রপতি বরাবর লেখা পদত্যাগপত্র প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে জমা দিয়েছেন। এর আগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে তলব করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।

কাউন্সিলের অপর দুই সদস্য হলেন- আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী। গত ১লা জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এরপর ২৬শে আগস্ট সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়। গতকাল ব্যাখ্যাসহ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে। এ ছাড়া, চলতি বছরের ২৩শে মার্চ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের এই বিচারপতি জেলা জজ থাকাকালীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছিলেন। গত বছরের ১৬ই অক্টোবর দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। অভিযোগ ওঠার পর ওই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। একইসঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে ডাকা হয়।

১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়