এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ ১০০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের দুটি কোম্পানি। যার একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও এবং চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান সম্ভব এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা এই তালিকায় কনজ্যুমার টেকনোলজি বা ভোক্তাপ্রযুক্তি শ্রেণিতে তালিকায় স্থান পেয়েছে পাঠাও। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টার্টআপের রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ, ই-কমার্স, লজিস্টিকস ও ফিনটেকসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, পাঠাও অ্যাপ ৬০ লাখের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপালে ৭কোটির বেশি যাত্রা ও কার্যাদেশ সরবরাহ করেছে।
পাঠাও ভেঞ্চারসুকের নেতৃত্বে গত বছর প্রি-সিরিজ বি রাউন্ডে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার তোলার মাধ্যমে মোট তহবিল ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। সর্বশেষ বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঠাও ফিনটেক সেবা সম্প্রসারণ করবে, যেমন পাঠাও পে (একটি ডিজিটাল ওয়ালেট) ও 'পে লেটার' (এখন কিনুন, পরে প্রদান করুন)।
ভোক্তাপ্রযুক্তি খাতে ফোর্বসের তালিকায় স্থান পেয়েছে স্টার্টআপ কোম্পানি সম্ভব। সম্ভব বাংলাদেশের মানুষকে দক্ষতা ও লক্ষ্য অনুযায়ী উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করছে। এই প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করে আবেদন এবং অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কোম্পানিগুলো 'সম্ভব' ব্যবহার করে প্রার্থীদের মূল্যায়ন, নিয়োগ প্রক্রিয়া আউটসোর্স করা ও বেতন-ভাতা পরিশোধ ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
মূলত নিম্ন আয়ের নারীদের চাকরি খুঁজে দেওয়ার সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে এই প্ল্যাটফরমের যাত্রা শুরু। ২০২৩ সালে গেটস ফাউন্ডেশনের ৩ লাখ ডলার অনুদান পেয়েছে তারা। চলতি বছরের মে মাসে সিংগাপুরভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম কুকুন ক্যাপিটালের নেতৃত্বে প্রি-সিড ফান্ডিংয়ে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার তুলেছে তারা।
ফোর্বসের তালিকায় সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছে ভারতীয় স্টার্টআপগুলো। তালিকায় ভারতীয় স্টার্টআপ আছে ১৮টি। এরপর আছে সিংগাপুর ও জাপানের ১৪টি। চীনের ৯টি, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার আটটি করে। অস্ট্রেলিয়ার সাতটি।
স্টার্টআপ একধরনের ব্যাবসায়িক ধারণা, যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কোনো সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। যেটা এর আগে কেউ এতটা সহজভাবে দেয়নি। বর্তমান পটভূমিতে স্টার্টআপ মূলত প্রযুক্তিনির্ভর। যেমন অ্যাপ, সফটওয়্যার বা ই-কমার্স, কৃষিভিত্তিক প্রযুক্তি অথবা সামাজিক উদ্যোগ। স্টার্টআপ সাধারণত প্রচলিত ব্যবসা থেকে দ্রুত বড় হয়।