স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, দায়িত্বশীল ব্যাটিং-বোলিং এবং মাঠে ক্ষুধার্ত মানসিকতা— এমনটাই মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তার মতে, যে ফরম্যাট বা যে প্রতিযোগিতাই হোক না কেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি খেলোয়াড় যদি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এবং দায়িত্বশীলভাবে খেলে, তাহলে সমষ্টিগত পারফরম্যান্সে দল হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী। -- বিডি ক্রিকটাইম
সর্বশেষ দুইটি সিরিজই জিতেছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুইটিতেই ২-১ ব্যবধানে জয় টাইগারদের।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও দাপুটে জয়ে শুরু করেছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক পাইলট মনে করেই এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলেই দল ভালো হয়ে যাবে এবং এশিয়া কাপেও ভালো কিছু করবে।
তার মতে, বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি চাপ এড়িয়ে শান্তভাবে ইনিংস গড়তে পারে, তবে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, দল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলবে। শুধু ইনিংসের শুরুটা নয়, মাঝের ওভার ও শেষ ভাগেও ব্যাটারদের জুটি গড়তে হবে এবং সেটাই ম্যাচ জেতার মূল চাবিকাঠি।
পাইলটের মতে, ক্রিকেট হোক বা জীবনের অন্য যে কোনো ক্ষেত্র, নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতাই এগিয়ে নিয়ে যায় দলকে। একজন যদি নিজের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেন, তাহলে পুরো দল উপকৃত হয়। তাই খেলোয়াড়দের উচিত নিজেদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলের ভেতরে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরি করা।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী পাইলট। তিনি বলেন, এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তামিম, ইমনও ভালো খেলছে। সাইফ ভালো ব্যাটিং করলো ফিরেই। বাদ বাকি সকল ব্যাটার যদি ভালো করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের সামনে অনেক ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। বড় ম্যাচেও এভাবে রিল্যাক্স খেলতে হবে, জুটি গড়তে হবে।
বোলিং বিভাগ নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের সাম্প্রতিক ছন্দে তিনি মুগ্ধ। পাইলট বলেন, “তাসকিন অসাধারণ বোলিং করেছে, ভালো ছন্দে আছে। তাসকিনের কালকে দিন ছিল। শরিফুল, মুস্তাফিজ ভালো বোলার। বেঞ্চে আছে তানজিম সাকিবও ভালো।
তবে শুধু প্রতিভা নয়, সবার মধ্যেই থাকতে হবে পারফর্ম করার ক্ষুধা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের উচিত হবে যে কে কত চ্যালেঞ্জিং পারফরম্যান্স করতে পারে সেই চেষ্টা করা, যেই একাদশে জায়গা পাক। ক্ষুধার্ত হতে হবে পারফর্ম করার জন্য। ভাবতে হবে আমার কাজ ভালো করা। যার যে দায়িত্ব সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ভালো করলেই দেখবেন যে দল ভালো হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে সাবেক অধিনায়কের বার্তাটা পরিষ্কার, বাংলাদেশ দলের উন্নতির মূল চাবিকাঠি হতে পারে ক্ষুধার্ত মানসিকতা, দায়িত্বশীলতা এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। এগুলো ধরে রাখতে পারলেই সামনে যেকোনো টুর্নামেন্টে কিংবা দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আরও বড় জায়গা করে নিতে পারবে।