শিরোনাম
◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের সমাধান কোন পথে? ◈ ড.ইউনুসের গ্রামীণ নামে যা যা বানাইছেন সবকিছুর বিপদ আছে: কাদের সিদ্দিকী ◈ একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাস, আন্দোলন স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ◈ ফুটবল ফেডা‌রেশন বিসিবির কাছে প‌রিচালক আসিফের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে  ◈ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের গ্যালারির টিকিট ৬ মি‌নি‌টেই শেষ ◈ দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩, বহু হতাহত (ভিডিও) ◈ বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিরোধ সামলাতে 'নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই' ◈ ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মাপাড়ের দুর্গম চরে উন্নয়নের ছোঁয়া: চর মাঝারদিয়াড়ে টেকসই কংক্রিট রাস্তা নির্মাণ শুরু

ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাঝারদিয়াড় অঞ্চলের বাসিন্দাদের। যুগের পর যুগ কাদা-মাটির রাস্তায় চলাচলের কষ্ট আর ঝুঁকি পেরিয়ে অবশেষে শুরু হয়েছে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি টেকসই কংক্রিট রাস্তা নির্মাণের কাজ।

এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য রাস্তাটি ওপারের পদ্মানদীর পাড় থেকে খাসমহাল পাড়া ও স্কুল পাড়া হয়ে হারুমন্ডলপাড়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। প্রায় ২ হাজার ১০০ মিটার (২.১ কিলোমিটার) দীর্ঘ ও ৩.৬৫ মিটার (১২ ফুট) প্রস্থের এই রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছেন মেসার্স মিনহাজ রাজ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর ও হরিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবর আলী।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাস্তা নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঠিকাদার বাবর আলী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হরিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবীর, এলজিইডি পবা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ মাহমুদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মোস্তফা আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম, দুরুল হুদা ও মোস্তাকিন প্রমুখ।

ঠিকাদার বাবর আলী বলেন,চর মাঝারদিয়াড়ে রাস্তা নির্মাণ করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। শহর থেকে নির্মাণ সামগ্রী আনা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য, কারণ বিশাল পদ্মা নদী ও দুর্গম চর এলাকা পেরোতে হয়। পরিবহন ব্যয় শহরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। তবুও স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমি এই কাজের দায়িত্ব নিয়েছি।”

এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ মাহমুদ জানান, রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে কংক্রিট ঢালাই পদ্ধতিতে, যার থিকনেস থাকবে প্রায় ৫ ইঞ্চি। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চমানের খোয়া, রড, পাথর, বালু, জিও সিট ও সিমেন্ট।

তিনি বলেন, রাস্তাটিতে আধুনিক পেভমেন্ট ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমেও এখানে পানি জমবে না। এই কংক্রিট রাস্তা হবে টেকসই, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। কাজের মান নিয়েও কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই।”

হরিপুর ইউনিয়নের মেম্বার বাবর আলী ও হুমায়ুন কবীর বলেন, এবড়ো-থেবড়ো মাটির রাস্তায় চলাচল করতে হতো স্থানীয়দের। বিশেষ করে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের জন্য ছিল এটি দুঃসহ কষ্টের বিষয়। অবশেষে তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে এই রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে।”

রাস্তাটি নির্মিত হলে কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য সহজে ও কম খরচে বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। চর অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

চর মাঝারদিয়াড়ের দুর্গম এই এলাকায় রাস্তাটি নির্মাণকে স্থানীয়রা দেখছেন উন্নয়নের নতুন সূচনা হিসেবে।

রাস্তাটি সম্পন্ন হলে শুধু চলাচল সুবিধাই নয়, এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্যেও আসবে গতি- এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়