শিরোনাম
◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পে-স্কেলের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব, কোন গ্রেডে কত?

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:০৭ বিকাল
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তীব্র ভাঙন আতঙ্কে ফরিদপুরের পদ্মা পাড়ের দুই শতাধিক পরিবার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। বছর জুড়ে নদীর ভয়াল তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এবারে নতুন করে শুরু হওয়া ভাঙনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী ও ছলেনামা গ্রাম এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই তিন এলাকার প্রায় ২'শ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক প্রামানিক বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা ভাঙনের শিকার হচ্ছি। এখন আবার নদী খেয়াল করেছে আমাদের ঘাড়ে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না। 

শয়তানখালী ঘাটের চা বিক্রেতা মোতালেব বেপারী জানান, এই এলাকায় এবছর নদীতে প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে বলে তিনি দাবি করেন।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পদ্মার পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ করে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলেছি । নতুন করে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সে বিষয়ে খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের জোর দাবি, ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও দ্রুত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে আগামী দিনে এই অঞ্চল থেকে বহু পরিবার স্থায়ীভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়