ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জোহা চত্বরে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল– “আমার সোনার বাংলায়, খুনিদের ঠাঁই নাই”, “চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলা হবে না”, “জনে জনে মানুষ মরে, ইন্টেরিম কি করে?”, “লীগ গেছে যেই পথে, যুবদল যাবে সেই পথে” ইত্যাদি।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “জুলাইয়ের পর থেকে আমরা বারবার দুটি সংস্কার চেয়ে এসেছি—মিডিয়া ও প্রশাসনিক সংস্কার। অথচ এই হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টা পর আমাদের তা জানতে হয় কেন? আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না যেখানে সত্য গোপন করে রাজনীতি হয়।”
তারা আরও বলেন, “চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যা করেছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তবে তাদের পথ রুখে দেবে এই জুলাই প্রজন্মই। আমাদের আন্দোলনের কারণেই আজ অনেকেই মুখোশ খুলতে বাধ্য হচ্ছে।”
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত যুবদলকর্মীদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে। এখনই সময় দল-মত নির্বিশেষে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো। নইলে প্রত্যেকে আবার 'হাসিনা' হয়ে উঠবে, ‘আওয়ামী লীগ’ হয়ে উঠবে। এ দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ, কোনো চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেব না।”
তারা বলেন, “তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে কি খেলা দেখছেন? জুলাইয়ের পর তার দলের খুনের সেঞ্চুরির দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আর কোনো দল—বিএনপি, জামায়াত বা অন্য কেউ—বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে পারবে না, যদি জুলাই প্রজন্ম বেঁচে থাকে।”
শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।