মাসুদ আলম: [২] সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন লতা ।
[৩] লতার ফুফাতো ভাই সজীব আহমেদ বলেন, খলিলুর পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। প্রেম ও বিয়ের সময় পেশার কথা গোপন করেছিলেন খলিলুর। বিয়ের পর তা জানতে পেরে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান লতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত রোববার বেলা পৌনে একটায় লতার গ্রামের বাড়িতে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মো. খলিলুর রহমান। পরে তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরান। খলিলুর গত সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
[৪] তিনি আরও বলেন, লতার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে। গ্রামের বাড়িতে লতা ও তার মা থাকতেন। তার বাবা মারা গেছেন। বড় দুই ভাই- বোন ইতালিপ্রবাসী।
[৫] তবে খলিলুরের বড় ভাই মুদিদোকানি মো. জলিল বলেন, খলিলুর হাসপাতালে তাদের বলেছেন, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে গায়ে আগুন লাগান।
খলিলুরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।
[৬] ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আগুনের লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। চার দিনেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এমএ/আইকে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :