শাহীন খন্দকার : ঈদের ৫ দিন পরেও রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। শুক্রবার (১৫ জুলাই) কমলাপুর রেল স্টেশনে সরোজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল অনুযায়ী ফেরেনি। এদিকে, রেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও শুক্রবার অনেক মানুষকে ট্রেনের ছাদে করেই রাজধানীতে ফিরতে দেখা গেছে।
আমাদের নগরবাড়ী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ও পদ্মা সেতুতে তুলনামূলক ভিড় কম থাকলেও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় ফিরতি যাত্রায় মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। তবে কোনো যানজট নেই।
ঈদের ছুটি শেষে তৃতীয় কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে চাপ ছিল কয়েকদিনের তুলনায় কম। এই নৌ-রুটে ছোট বড় ২১টি ফেরি এবং ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করেছে। সেই সঙ্গে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে দাড়িঁয়ে থাকতে হচ্ছে না টোল প্লাজায়।দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি ও পাবলিক পরিবহনগুলো নির্বিঘ্নে সেতু পার হচ্ছে।
আমাদের সিরাজগঞ্জ ও ভূঞাপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডা এলাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। প্রতিটি কাউন্টারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গাদাগাদি করে প্রতিটি বাসকে রওনা হতে দেখা যায়। তবে, কোথাও কোনো যানজট না থাকায় স্বস্তি নিয়েই ঢাকায় ফিরছেন উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা। যাত্রীদের ভিড় কিছুটা থাকলেও অনেকটা ফাঁকা ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গের মহাসড়কগুলো। তবে পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা।
জাজিরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটিয়ে লঞ্চে করেও রাজধানীতে ফিরছেন অনেকেই। তবে পদ্মা সেতু হয়ে কম সময়ে ঢাকায় ফিরতে পারায় পাল্টে গেছে ভোগান্তির চিরচেনা রূপ। এতে উচ্ছ¡সিত দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। শেকড়ের মায়া ছেড়ে আবারও রাজধানীতে ফিরছে কর্মব্যস্ত মানুষ। সড়কে ছিল না কোনো দুর্ভোগ। ভোগান্তির চিরচেনা রূপ পাল্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফিরতে পেরে উচ্ছ¡সিত যাত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :