শরীফ শাওন: [২] মিরপুরে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৬০ শতাংশ, এমডিসি মডেল স্কুলে ৯০ শতাংশ এবং মিরপুর বাংলা হাই স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
[৩] বুধবার মিরপুর বাংলার অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশ জানান, ড্রেস ছোট হয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে না। আইডিয়ালের উপাধ্যক্ষ আফরিন পারভীন জানান, শিক্ষার্থীদের সামনে পরীক্ষা থাকায় অনেকে বাড়িতে বসেই পড়াশোনা করছে। এছাড়াও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম ও ক্লাস একসঙ্গে পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চাপের মধ্যে রয়েছে। অনেক অভিভাবক করোনা সংক্রমণের ভয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে দিচ্ছেন না। শহীদুল্লাহের সহকারী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থতার অযুহাতে বিদ্যালয়ে আসেনা। আবার করোনার কারণে অনেক অভিভাবক কর্মহীন হয়েছেন, অনেকে গ্রামে চলে গেছেন। সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ হচ্ছে। আর্থিক সংকটের কারণে তাদের ফেরানো নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
[৪] এম.ডি.সি শিক্ষার্থীদের দল বেধে স্কুলে প্রবেশ করতে দেখা যায়, তাপমাত্রা মাপা হলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়া নিয়ে তেমন কোন কড়াকড়ি চোখে পড়েনি। তাপমাপক যন্ত্রে ব্যাটারির চার্জ না থাকার অযুহাত জানিয়ছে শহীদুল্লাহ কর্তৃপক্ষ। বাংলা স্কুলে বন্ধ ছিলো হাত ধোয়ার বেসিনের পানি সরবরাহ। স্কুলে ঝটিকা পরিদর্শনে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু নাসের বেগ পানি না থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
[৫] আবু নাসের বেগ বলেন, এর আগে সকালে ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করিছ। সেখানে কিছু গাফেলতি থাকায় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না, ফলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামণা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :