খালিদ আহমেদ: [২] নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যমুনা টিভি, মানবজমিন
[৩] ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, অভিভাবকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকে, কি করে জানা যায় না।
[৪] তিনি বলেন, সরকার বলছে, টিকা দিয়ে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। টিকা তো দিচ্ছেন না। টিকা আপনাদের কাছে নেই।
[৫] মান্না বলেন, আসলে আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। সারা দেশের লোক ছিঃছিঃ করছে।
[৬] তিনি বলেন, ১৭ই অক্টোবর কেন, আজকে খুলে দেন। নাহলে সারাদেশের লাখো ছাত্র রাস্তায় নেমে আসবে।
[৭] মান্না বলেন, দুনিয়ার বুকে বাংলাদেশের সম্মান নাই। তারা বলছে, আমরা পদ্মা ব্রিজ বানাই, ফ্লাইওভার বানাই। বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোলমডেল। সারা বিশ্ব নাকি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে।
[৮] তিনি বলেন, এক মন্ত্রী বলেছেন ওপর থেকে তাকালে নাকি বাংলাদেশকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো দেখা যায়। আমি বলছি- লস অ্যাঞ্জেলেস নয় ‘লস্ট বাংলাদেশ’ দেখা যায়।
[৯] জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবক সবাইকে নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছে। তারা মনে করছে, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা হচ্ছেন সরকারের শত্রু। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া মানে হচ্ছে সরকারের বিপদ ডেকে আনা। এইজন্য তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
[১০] আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
[১১] অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন, মহাসচিব জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
