শিরোনাম
◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ◈ সঙ্কটে এশিয়া কাপ! দা‌বি না মান‌লে, প‌রের ম‌্যাচ আরব আ‌মিরা‌তের বিরু‌দ্ধে খেল‌বে না পাকিস্তান ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ নেতানিয়াহুর পাশে আমেরিকা, লক্ষ্য হামাস ধ্বংস: রুবিও ◈ বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩০ রাত
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: পরীমনি বোট ক্লাবের নাসির সাহেবের বিরুদ্ধে যেটি করেছিলেন সেটি কি ‘সত্য মামলা’ ছিলো?

আরিফ জেবতিক: পরীমনি মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, আপনারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন’। এই কথা শোনার পরে তাঁর ‘দৃঢ়তা’ তাঁর ‘ইস্পাত কঠিন মেরুদণ্ড’ ইত্যাদি বিশেষণে সিক্ত তাঁর পক্ষে সমবেদনাপূর্ণ আহাজারিতে আমার ফেসবুক ফিড সিক্ত! বাস্তবতা হচ্ছে উনাকে ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসানো হয়নি, তবে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে ‘আজাইরা’ মামলায় জড়ানো হয়েছে। কে বাসায় বসে বসে মদ খায়, সেটা নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র একহালি গাড়ি আর ৫ হালি লোক নিয়ে গিয়ে হইচই করে এরেস্ট করাটা রাষ্ট্রের সম্পদের অপচয় মনে হয় আমার কাছে। কিন্তু যেহেতু আইন আছে, তাই এরেস্ট করাটা যতোই আমার কাছে আজাইরা অপচয় মনে হোক, কাউকে এরেস্ট করলে সেটাকে ‘মিথ্যা মামলা’ বলার উপায় নেই। আর মদ খেয়ে যে উনি বাইরে পাবলিক নুইসেন্স করেন, সেটার প্রমাণও কয়েকটা কিন্তু আছে। পাবলিক নুইসেন্সের অপরাধ আমলে নেওয়ার প্রয়োজন আছে।

যাই হোক, পরীমনি বোট ক্লাবের নাসির সাহেবের বিরুদ্ধে যেটি করেছিলেন সেটি ‘সত্য মামলা’ ছিলো কি? বোটক্লাবের যে ছোট ভিডিও ক্লিপ বেরিয়েছিলো, তাতে বুঝেছি যে নাসির সাহেব তাঁদের ক্লাবে পাবলিক নুইসেন্স করতে বারণ করছিলেন। কিন্তু সেটাই পরীমনির ইগোতে লাগে। তিনি সেটাকে ধর্ষণ চেষ্টা, জোর করে নাক টিপে মদ খাইয়ে দাঁত ভেঙে দিয়েছে-এরকম হরেক অভিযোগ করে প্রেস কনফারেন্স করে, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে যে নাটকটি করেছিলেন, সেটি আমরা সবাই বিশ্বাস করেছিলাম। বোট ক্লাবের পরের ভিডিও ক্লিপটি না থাকলে সেই বিশ্বাস থেকে আমরা সরে আসতাম না।

যিনি অন্য মানুষকে হেনস্থা করতে মিথ্যা মামলা করেন, তিনি নিজে ‘মিথ্যা মামলায় খেয়েছি’ বলে সহানুভূতি কুড়ানোর চেষ্টা করলেই সবাই সহানুভূতির কার্ট ঠেলে তাঁর দরজায় হাজির হয়ে যাওয়ার মাঝে কোনো সারবত্তা নেই। পরীমনির প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই। কিন্তু তার জন্য কোনো সহানুভূতিও নেই। লেখক : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়