শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২১, ০১:২৬ দুপুর
আপডেট : ৩১ মে, ২০২১, ০১:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর, গাড়িতে খাবার বিক্রির ব্যবসা করে দিনে ১০ হাজার টাকা আয় করেন শিল্পা

রাশিদ রিয়াজ : শিল্পাকে যখন তার স্বামী মিথ্যে কথা বলে চিরকালের জন্য তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন তার জীবন পাল্টে যায়। তখন সে বুঝতে পারে না যে তার কি করা উচিত আর কি নয়। এই শিল্পা পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে এবং একটি খাবারের দোকান চালিয়ে একজন সফল মহিলা উদ্যোক্তা এ পরিণত হয়েছে। শিল্পার এই গল্পটি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে এবং এটি ভাইরাল হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানির মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা শিল্পার গল্পটি টুইট করেছেন।

মিডিয়ার সাথে কথোপকথনের সময় শিল্পা নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন যে যদিও তিনি ছোট থেকেই রান্নার প্রতি আগ্রহী ছিলেন তবে ভবিষ্যতে এটি তার ব্যবসা হয়ে উঠবে তা তিনি কখনও ভাবেননি এবং এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যার কারণে তিনি একটি খাবারের দোকান পেয়েছিলেন। এই খাবারের দোকানটি নিজের থেকে নয় বরং বাধ্যতামূলকভাবে শুরু করতে হয়েছিল তাকে।

তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিজের ইচ্ছায় এই খাবারের ব্যবসায় আসেননি। তবে আজকের সময় শিল্পা তার খাবারের দোকানের কারণে ম্যাঙ্গালোরে খ্যাতি অর্জন করছে। শিল্পা তার লড়াই প্রকাশ করার সময় খুব আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে আবার কখনও কখনও আত্মবিশ্বাসের হাসি তার মুখে আসে কখনো কখনো আবার সে একেবারে চুপ হয়ে যায়।

২০০৮ সালে শিল্পার স্বামী ব্যবসার লোন এর কারণে ব্যাঙ্গালুরুতে যাওয়ার পর আর ফেরেননি। এখান থেকেই শিল্পার জীবনে একটি ইউ টার্ন আসে যখন তার স্বামী আর ফিরে আসে না। তার স্বামী যখন তাদের ছেড়ে চলে গেলেন তখন শিল্পার সাথে তার একটি তিন বছরের ছেলেও ছিল।

শিল্পা খানিক বাধ্য হয়েই একটি ফুড ট্রাক ব্যবসা শুরু করার ধারণা নেয় কিন্তু তখন সে এই ব্যবসাটি চালাবে কিনা বুঝতে পারেনি। শিল্পা জানিয়েছিল যে তার স্বামী যখন তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন শিল্পার ব্যাংক একাউন্টে ছিল মাত্র ১ লাখ টাকা যা শিল্প অল্প অল্প করে সংগ্রহ করেছিল। শিল্পা আরো বলেছিলেন যে এই টাকা ছাড়া তার কাছে আর কিছুই ছিলনা সে এই টাকার বিনিময় কোন দোকান কিনতে পারতো না বা কিছুদিন দোকান ভাড়া নিয়ে চালাতে পারতো না। তার বাড়ি ঠিক সামনে মাহিন্দ্রা শোরুম ছিল হঠাৎ একদিন সে ভাবল সে অর্থের বিনিময়ে একটি ট্রাক কেন কিনে নিচ্ছেন না এবং সে ট্রাকের মধ্যেই সে তার খাবারের ব্যবসা করবেন।

লোকেরা তাকে সেকেন্ড হ্যান্ড ট্রাক কেনার পরামর্শ দিল কিন্তু শিল্পা তাদের কথায় কান না দিয়ে নতুন ট্রাক কিনতে শো রুমে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে এই ট্রাকটি কিনতে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে এছাড়াও যদি তিনি আবার ব্যবসা করেন তার জন্য আলাদা খরচ কিন্তু শিল্পার কাছে মাত্র ১ লাখ টাকায় ছিল।

তিনি তার সন্তানের জন্য সেই এক লাখ টাকা রেখেছিলেন যাতে ভবিষ্যতে তার সন্তান কোন সমস্যায় না পড়ে। কিন্তু তবুও তিনি ভারত সরকারের মহিলা রোজগার উদ্যোগ যোজনার আওতায় ঋণ নিয়েছিলেন এবং বাকি সোনার অলংকার বিক্রি করে ট্রাক কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন এবং এই ভাবেই শিল্পা তার খাবারের ট্রাকে রান্না শুরু করে এবং ধীরে ধীরে লোকেরা তাদের সম্পর্কে জানতে পারে।

মাহিন্দ্রার মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা শিল্পার এই ঘটনাটি জানতে পারেন তিনি খুব আনন্দিত হয়ে তাকে সহায়তার আশ্বাস দেন। আনন্দ মাহিন্দ্রার পোষ্টের পর থেকে তার গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কলকাতা ট্রেন্ড

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়