আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ফিলিস্তিন থেকে রাখাইন, কাশ্মীর থেকে কাশগড়, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়ামেন, আফগানিস্তান। সারা বিশ্বের মতো এসব দেশ ও অঞ্চলেও ঈদ হয়েছে। তবে সে ঈদ খুশির ছিলো না। কোথাও দিন কেটেছে ঘাতক বুলেট ও মিসাইলকে ফাঁকি দিতে দিতে, কোথাওবা শরণার্থী শিবির আর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। সব মুসলিমের জন্য ঈদ আনন্দের হয়ে আসেনি। এসেছে শুধুই আরেকটি দিন হিসেবে, যা শেষ হওয়ার পর জীবন থাকবে কী না, সে নিশ্চয়তা নেই।
[৩] ঈদের দিন কাতারে কাতারে প্রাণ দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ঘরে তৈরি রকেট ছুঁড়েছে হামাস, এই অযুহাতে, শিশুদের উপর অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান হামলা চালাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি ইসরায়েল। ৩০টির বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে সদ্য ঈদের পোষাক পরা শিশুটিও।
[৪] রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঈদ কেটেছে প্রাণভয়ে। একদিকে সামরিক জান্তা, অপরদিকে আরাকান আর্মি। রাখাইনে যে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা আছেন, তারা এখন পড়েছেন উভয় সঙ্কটে। তুলনামূলক ভালো দিন কেটেছে কক্সবাজার আর ভাসানচরে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের। অন্তত তাদের মৃত্যুভয় তাড়া করেনি। ঈদের দিন জুটেছে ভালো খাবার।
[৫] কাশ্মীর এখনও অবরুদ্ধ, ক্ষণে ক্ষণে তল্লাসী চলছে। যে দেশে কবরের নিরবতা ভর করে, সেখানে ঈদ হয়না। ইয়মেন শুধু সৌদি জোটের সঙ্গে নয়, লড়ছে দূর্ভিক্ষের সঙ্গেও। খাবারই নেই, ঈদ উদযাপনের প্রশ্নও নেই। সিরিয়া আর লিবিয়ার গল্পটাও আলাদা নয়।
[৬] জিনজিয়ানের উইঘুর মুসলিমদের খবর বাইরে সহজে আসে না। তাদের কোরআন নিষিদ্ধ, নামাজ নিষিদ্ধ, রোজা নিষিদ্ধ। ঈদও নিষিদ্ধই। তবুও তাদের জীবনে ঈদ এসেছে। হয়তো আনন্দহীন, তবুও তো ঈদ।