মোঃ ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে দুই চোর সুকৌশলে মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে থাকা ১১খানা কোরআন শরীফ চুরি করে নিয়ে যায়। কোরআন শরীফ চুরির ঘটনার খবর জানতে পেরে নিজের উদ্যোগে রাজবাড়ীর জেলা সদরের ফ্রান্স প্রবাসী ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ১৫টি কোরআন শরীফ বালিয়াকান্দির ওই মসজিদে প্রদান করেছেন।
[৩] বুধবার (৫ মে) দুপুরে ফ্রান্স প্রবাসী মোঃ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে নিল আকাশ ও এসএম হিরা কোরআন শরীফ গুলো তুলেদেন ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ মোসলেম শেখ ও ইমাম মাওলানা নূর ইসলামের হাতে।
[৪] উলেখ্য, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের সুইচ গেইট বাজার জামে মসজিদ থেকে ১১খানা কোরআন শরীফ চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
[৫] আটককৃত দুই ছাত্র হলো- বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দিয়ারা গ্রামের মামুন মোল্লার ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) ও পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নের সুবর্ণকোলা গ্রামের আকমদ্দিন মিয়ার ছেলে তাওহিদুল ইসলাম (১৯)। তাদেরকে সোমবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
[৬] এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানাগেছে, রোববার সকাল ১০টার দিকে ওই দুই ছাত্র একটি মোটরসাইকেল যোগে এসে মসজিদে প্রবেশ করে ১১খানা কোরআন শরীফ ব্যাগে ভর্তি করে চম্পট দেয়। কোরআন শরীফগুলো বিভিন্ন গ্রামে কম দামে বিক্রি করে। সন্ধ্যায় একই সড়ক দিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা সদর বাজারের দিকে যাওয়ার পথে স্লুইচ গেইট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাপ ফকির তাদের আটক করে। এসময় এলাকার লোকজন মসজিদের ইমাম নুরুল ই্সলামকে খবর দেন। ইমাম ও এলাকার লোজনের জিজ্ঞাসাবাদে কোরআন শরীফ চুরি করে বিক্রির বিষয় স্বীকার করে তারা। লোকজন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই দুই ছাত্র ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বরিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র। তারা গত একমাস যাবৎ বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মসজিদে ঢুকে কোরআন শরীফ ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে বিক্রি করতেন বলে স্বীকার করেন। পুলিশ সোমবার তাওহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে আদালতে প্রেরণ করেছে। সম্পাদনা: হ্যাপি