ইমরুল শাহেদ: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ প্রবলভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকল কর্মকাণ্ড একেবারেই থেমে গেছে। শুটিং ষ্টুডিও থেকে মঞ্চ পর্যন্ত কোথাও কোনো কাজ নেই। একজন গায়িকা বলেছেন, স্টেজ শো বন্ধ, তাই তিনি অনেকগুলো গান রেকর্ড করার সুযোগ পেয়েছেন। অভিনেত্রী কাজী নওশাবা বলেছেন তিনি ঘরেই আছেন। এ সময়টাতে কোনো কাজ করবেন না। নায়িকা নিশাত নাওয়ার সালওয়া বলেছেন, আপাতত তার কোনো কাজ নেই। আর কাজ না থাকলে তিনি সচরাচর ঘরের বাইরে যান না। নায়িকা আচল জানান, ম্যুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে তিনি কোনো কাজ রাখেননি। ঘরেই আছেন। রোহিঙ্গা ছবির নায়িকা আরশি হোসেন বলেন, ‘রোজা-নামাজ নিয়ে আছি। পরিবারকে সময় দিচ্ছি। সকলের সঙ্গে গল্প-গুজবে সময় কেটে যাচ্ছে।
এ সময়টাতে কোনো কাজ রাখিনি।’ নায়িকা জাহারা মিতু বলেন, ‘আমার দাদা-নানুর মৃত্যু বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে রমজান মাসে আমাকে কোরআন খতম দিতে হয়। সেটা করছি। আর নতুন একটি সিনেমা নিয়ে কথা হয়েছে, সেটির চিত্রনাট্য পড়েছি। গল্পটা ভালো লেগেছে। এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে সম্ভবত ঈদের পর থেকে ছবিটির কাজ শুরু হবে। আপাতত হাতে আর কোনো কাজ নেই। এছাড়া যেহেতু রোজার মাস সেহেতু ইফতার বানাতে হয়।’ আসলে এই সময়টাতে কেউই কাজ করছেন। ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারকারা কেউ কাজ করছেন না। তাই প্রায় শ’ দেড়েক নাটকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তার কথায় বুঝা গেল, ঈদের আয়োজনের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ঈদে টিভি ও ইউটিউবে নতুন কনটেন্টের অভাব অনুভূত হতে পারে। অন্যদিকে শাপলা মিডিয়ার একশ’ ছবির কাজও থেমে গেছে। কাজ হয়েছে মাত্র দশটি ছবির।
এছাড়া অন্যান্য পরিচালকরাও ম্যুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞায় হাত গুটিয়ে বসে আছেন। গত ১৩ মাস থেকে নতুন কনটেন্টস সৃষ্টি, তার নির্মাণ এবং বাজারজাত করার মধ্যে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে, তার থেকে উত্তরণের কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :