মনজুর অনিক: [২] মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।
[৩] মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, পেনাল কোড ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে এবং বেপরোয়া গতিতে নৌ-যান চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
[৪] বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই দোষীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
[৫] উল্লেখ্য,রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এম এল সাবিত আল হাসান যাত্রীবাহী লঞ্চটি মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর অদূরে এসকেএল-৩ এম:০১২৬৪৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে যায়। এতে প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। তবে ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও আটক হয়নি ঘাতক এসকেএল-৩ নামের জাহাজটি।