এএইচ রাফি: [২] গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে পুলিশের এত গাড়ি পুড়াচ্ছে, উনারা ঘুমাচ্ছেন । আজকে আমি শহরে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ঢুকার আগেই পুলিশ আমার গাড়ি আটকিয়েছেন। তারা খোঁজ নিচ্ছেন আমি কোথায় যাব, না যাব। অতটা সচেতন আছে পুলিশ, সেই পুলিশ কিভাবে এতবড় একটা বিষয়ে জানলো না?
[৩] শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে এসে দুপুরে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন। এসময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনের কাছ থেকে হামলার বর্ণনা শুনেন।
[৪] ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসময় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের উপর হামলা এটা একটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এতে আমরা মর্মাহত হয়েছি। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে একদিকে পত্রিকায় বের হয়েছে রামদা নিয়ে, আবার আপনাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি প্যান্ট-শার্ট পড়া। এদিকে অন্যদের কাছে তথ্য পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের অন্তঃদ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটেছে। এখনো আমরা কিছু বুঝতে পারছিনা। প্রেসক্লাবকে আক্রান্ত করার কোন কারণ খোঁজে পাই না। এটা একটি অত্যন্ত অপরিপক্ক কাজ।
[৫] তিনি আরও বলেন, এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী যা বলেছেন, তা সরাসরি পুলিশকে ক্লেইম করেছেন। এই মূহুর্তে আমরা কিছু মন্তব্য করতে চাই না। ঢাকায় গিয়ে সব কিছু জানাব। তবে দুঃখ করতে পারি সাংবাদিকদের ও প্রেসক্লাবকে আক্রমন করার বিষয়ে। আপনাদের কাজ হচ্ছে সত্য তুলে ধরা, আপনারা অনেকে জায়গায় তা করে যাচ্ছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ