রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে এসেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি মোকাবেলা কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর এ দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং। স্পুটনিক
[৩] ওয়াশিংটন থেকে বলা হচ্ছে রোববার উৎক্ষেপিত দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল স্বল্প পাল্লার। তাদের মাথায় নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ছিল না। গত অক্টোবরে ‘দৈত্যাকার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র’ দেখা যায় পিয়ংইয়ংয়ের কুচকাওয়াজে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তোলেন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আসল কি না।
[৪] জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদি সুগা বলেছেন গত বছর ২৯ মার্চের পর ফের উত্তর কোরিয়া এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। এটি জাতিসংঘর নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার লঙ্ঘন। এটি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যে হুমকি। তবে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির সীমানার ভেতরে প্রবেশ করেনি।
[৫] উত্তর কোরিয়া যাতে আর পরমাণু অস্ত্র না বানায় সেজন্য হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। অবশ্য বৈঠক ব্যর্থ হয়।
[৬] জাপানের কিয়োডো বার্তা সংস্থা বলছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিশেষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।