শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:২৪ সকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খেজুরের ফুটন্ত রসে পড়ে নাতির মৃত্যু, ঝলসে গেল দাদার দু’হাত

ডেস্ক রিপোর্ট: ফুটন্ত রসের পাত্রে পড়ে সাত মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফেনীর সোনাগাজীতে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর দরবেশ এলাকায় আবুল হোসেনের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সময় টিভি

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দাদা-নাতিকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসক তাদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সকাল থেকে দক্ষিণ চর দরবেশ এলাকার বিভিন্ন গাছিদের কাছ থেকে পাটালি গুড় তৈরির জন্য রস সংগ্রহ করেন আবুল হোসেন। রস বাড়িতে আনার পর আগুন জ্বালিয়ে বড় পাত্রে রস ঢেলে গরম করে গুড় তৈরি করছিলেন আবুল হোসেনের স্ত্রী। এ সময় আবুল হোসেন তার ছেলে মাসুদের সাত মাস বয়সী ছোট ছেলে আশরাফুলকে কোলে নিয়ে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় অসতর্কতায় হঠাৎ করে আবুল হোসেনের কোল থেকে শিশু আশরাফুল ফুটন্ত রসের পাত্রে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আবুল হোসেন নাতিকে বাঁচাতে দুই হাত গরম রসে ঢুকিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে শিশু আশরাফুলের শরীর ও আবুল হোসেনের দুই হাত ঝলসে যায়। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে দুজনকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বলেন, গরম রসে শিশু আশরাফুলের মাথাসহ শরীরের ৪০ শতাংশ এবং আবুল হোসেনের দুই হাতসহ শরীরের ৮ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে শিশুটির অবস্থা তখনই আশঙ্কাজনক ছিল।

বিকেলে শিশুর বাবা মাসুদ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়