তরিকুল ইসলাম: [২] জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় ১৬ ডিসেম্বর।
[৩] ত্রিশ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় নিজস্ব ভূ-খণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্যখচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।
[৪] ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়।
[৫] স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের সহযোগিতায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে।
[৬] মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে আসতে থাকে।
[৭] ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী।
[৮] মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
[৯] মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে শিখা চিরন্তন চত্ত্বরে সমাবেশ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও শপথ গ্রহণের কর্মসূচি রয়েছে। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা ভবনে সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :