সাদ্দাম হোসেন: [২] নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর বাড়ির নিকটে একটি নদী থেকে স্বপ্না দাস নামে এক স্কুল ছাত্রীর মরদের উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
[৩] রোববার (২২ নভেম্বর) ভোরে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় নদীতে পাওয়া যায়। সে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী । তার বাড়ি এই উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশী পাড়া গ্রামে । গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে খ্রিস্টান পরিবারের এ মেয়েটি বাড়ি থেকে উধাও হয় ।
[৪] রাজকুমার দাস জানান, তার শ্যালিকা স্বপ্না’দাস রান্নার জন্য মা’কে সাহায্য করছিলো। এর এক পযার্য়ে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সে রান্না ঘর থেকে বের হয়। তবে এর পর সে আর ঘরে ফেরেনি। টয়লেটের সামনে তার পা’য়ের জুতা ও পানির পাত্রটি পড়েছিলো। অনেক খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। অবশেষে বাড়ির পাশে তির’নই নদী থেকে অক্ষত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
[৫] চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার চ্যাটার্জী বলেন, গ্রামবাসির মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, মেয়েটি’ কে জ্বিন বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে নদীতে ডুবে রেখে মেরে ফেলে। তবে বিষয়টি পুলিশ দেখছে ।
[৬] অপরদিকে, স্বপ্নার মা’ আসন্তা দাস ও বাবা রবিন দাসের দাবি তার মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
[৭] মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, ছাত্রী হিসেবে স্বপ্না ভালো ছিলো। তার এভাবে মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।
[৮] বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুস সবুর বলেন, তদন্ত করার পর বলা সম্ভব হবে স্বপ্নার মৃত্যুর রহস্য। সম্পাদনা: হ্যাপি