শওগাত আলী সাগর: কে ‘কম বুদ্ধিজীবী’ আর কে ‘বেশি বুদ্ধিজীবী’Ñ এ নিয়ে বিতর্কে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের আগ্রহ প্রবল। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে কোনো বিষয় বা আদর্শ বা নীতি নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের তর্ক বিতর্ক এখন সুদূরবর্তী কোনো কল্পনামাত্র। তাই বলে আমাদের বুদ্ধিজীবিতা একেবারেই বাদ-বিবাদমুক্ত, এমনটি ভাববার সুযোগ নেই। আমাদের বুদ্ধিজীবিতার প্রধান আগ্রহ হচ্ছে- নিজ নিজ গোষ্ঠীর পক্ষে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পিন্ডি চটকানোতে সকল শক্তি ব্যয় করা। তাদের আগ্রহের জায়গা অবশ্যই ফেসবুক।
কখনো কোথাও কাউকে পুড়িয়ে মারলে, ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেললে আমরা নাগরিকদের মানস-মনন ইত্যাদি নিয়ে ‘বুদ্ধিজীবীসুলভ’ নানা সুশীল প্রশ্ন তুলি, আহাজারি করি। কিন্তু গণমানুষের মানস গঠনে আমাদের বুদ্ধিজীবিতার ভূমিকা কিংবা অবদান, তাদের সফলতা -ব্যর্থতা নিয়ে তর্ক বিতর্ক দেখি না।
আমাদের কবি, লেখকরা প্রায়-ই ফেসবুকে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হন। সেই লড়াইয়ে মূল বিতর্কটা হয়Ñ কে ‘কম ধান্ধাবাজ’ আর কে ‘বেশি ধান্ধাবাজ’ তা নিয়ে। এ ধরনের তর্কের সময় এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের যাবতীয় গোপন হাড়ি ভেঙে দেন। এতে তাদের নিজের মানসিক যে দৈন্যদশার প্রকাশ পায়, তাতে মানুষের মানস গঠনে তাদের কোনো ভূমিকা নিয়ে আলোচনার চেয়েও তারা যেন কোনো ভূমিকাই না রাখেন স্ইে আকাক্সক্ষাই প্রবল হয়ে ওঠে। বুদ্ধিজীবিতার এই কিউট লড়াইটা বরাবরই খুব উপভোগ্য হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :