শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লীনা পারভীন: মনের পরিবর্তনকে সরল দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে চলবে কেন?

লীনা পারভীন: প্রতিটি মানুষের মধ্যেই প্রেম ও কাম দুটি বিষয় রয়েছে। নীরদচন্দ্র চৌধুরী তাঁর বাঙালি জীবনে রমণী গ্রন্থে অত্যন্ত সুন্দরভাবেই এই "কাম" ও "প্রেম" বিষয়টির উপর আলোচনা করেছেন। আমরা অনেকেই এই দুটি বিষয়কে একটি থেকে আরেকটি বিপরীত করে দেখার চেষ্টা করে থাকি কিন্তু আসলেই কি দুটি বিষয় তাই? কোনভাবেই একটি থেকে আরেকটি ছোট বা বর্জনীয় বলা যায় না। অনেকেই কামকে বাদ দিয়ে কেবল হৃদয়বৃত্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান আবার কেউ কেউ প্রেমকে বাদ দিয়ে কামকে বুঝতে চায়। এই দুটি দৃষ্টিভঙ্গীই ভুল। কোন একটি দিয়ে মানুষকে বিবেচনা করতে গেলে সেখানে গলদ থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়। নৈতিকতাবোধ দিয়ে এই বিষয়গুলোকে কখনও জাস্টিফাই করা যাবে না। তাই সে চেষ্টায় না যাওয়াই ভালো।
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আমাদের অনেকের অনেকরকম বিশ্লেষণ আছে। আমি সবসময় একজন ব্যক্তির কোন কাজের উদ্দেশ্যকে দিয়ে বিবেচনা করতে পছন্দ করি। তিনি একজন লেখক আবার তিনি একজন ব্যক্তিও বটে। একজন লেখক হুমায়ূনকে যখন বিবেচনা করবেন তখন কেবল সেটি দিয়েই তাকে মূল্যায়ন করতে হবে নচেৎ সেখানে গুরুচণ্ডালী হবার সম্ভাবনা প্রবল আবার ব্যক্তি হুমায়ূনকে মূল্যায়ন করতে গেলে সেখানে তার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করেই করতে হবে। কেবল মানুষ হিসাবে নৈতিকতার মানদণ্ডে মাপতে গেলে সেখানেও ভুল হবেই। এই যে একজন হুমায়ূন আহমেদের জীবনে দুজন নারীর উপস্থিতি এই বিষয়টিকে চাইলে আপনি নানাভাবে বিশ্লেষণ করে তাকে যাচাই করতেই পারেন কিন্তু সেটিও নির্ভর করছে আপনার মধ্যে কোন মানদণ্ডটি প্রবল, তার ওপর। গুলতেকিন বা শাওন কেউ কোনদিন একজন হুমায়ূনকে চরিত্রহীন বা সুবিধাবাদী বা চরম পুরুষতান্ত্রিক বলে দাবি করেন নি বা সেই ব্যক্তিটি তাদের জীবনকে নষ্ট করেছে বলেও দোষারোপ করেননি। মানুষের জীবনের চাহিদা প্রতি পরতে পরতে পাল্টায়। ঠিক তেমনি জীবনে কে কখন কাকে চায় বা চাইবে সেটিও পরিবর্তনশীল। এই যে মনের পরিবর্তন এটিকে আপনি কেবল আপনার সরল দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে চলবে কেন?
প্রেম ও কামের উপস্থিতি সবার মাঝেই আছে। যারা অস্বীকার করতে চায় তারা মূর্খ। তারা গভীরতা দিয়ে দেখতে চায় না। কেবল অস্বীকারেই কি তাদের উপস্থিতিকে আপনি এড়াতে পারবেন? দমন করা আর অস্বীকার এক জিনিশ নয়। আপনি কেন দমন করছেন সেটি আপনার বিবেচনা কিন্তু হুমায়ূন কেন দমন করেননি সেই ব্যাখ্যা দেবার আপনি বা আমি কে?
তাই এক বাক্যে একজন হুমায়ূন আহমেদকে চরম সুবিধাবাদী, ভোগাবাদি বা নারীলিপ্সু বলা বা চরম পুরুষতান্ত্রিক চরিত্রের কেউ বলে ফেলাটা সঠিক ব্যাখ্যা নয়। বাস্তবে এই তর্ক অনেকটাই নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর।
আবারও বলি, কোন একজন ব্যক্তি কখন কোন বয়সে কেন কোন কাজ করছেন সে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো আরেকজনের জন্য কঠিন নয় কেবল অন্যায্যও। প্রেম ও কামের মাঝে নৈতিকতাকে টানতে যাওয়াটা সবসময় সঠিক বিশ্লেষণ হয় না। একটা "সামাজিক" আর আরেকটা "বৃত্তিক।" কে কোনটাকে প্রাধান্য দিবে সেটি কেবল সেই ব্যক্তিই ঠিক করতে পারেন। ফেসবুক থেকে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়