শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাস্তাঘাট এত উত্তপ্ত যে মানুষ কম বের হচ্ছে। এর মধ্যেই স্কুল কলেজ শনিবারেও খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ ওই বাচ্চা ওই কিশোরদেরকেও এ সরকার আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারতে চাচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন,আমরা পাকিস্তান আমলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতাম। অথচ এই সরকার রমজান মাস একটি ইবাদতের মাস সেই মাসেও ১৫ দিন স্কুল খোলা রেখেছিল। যেখানে স্কুল সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ তার মধ্যে শনিবারে খোলা রেখে বাচ্চাদেরকে অগ্নিবর্ণ বাংলাদেশের মধ্যে এই বাচ্চাদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একটা গণদুশমন সরকার না হলে এটা করত না। একটা গণবিরোধী সরকার না হলে এই নীতি গ্রহণ করত না।
[৪] শুক্রবার রাজধানী ফকিরাপুল বাজারে বিএনপি আয়োজিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] রিজভী বলেন, বাংলাদেশ এখন উত্তপ্ত আগুনের মত পরিবেশ। এই উত্তপ্ত গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা এটার জন্য একমাত্র দায়ী এই গণবিরোধী সরকার। এরা নদী রক্ষা করতে পারেনি ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায় ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোন লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ,ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে যার কারণে সমুদ্র পারে নারিকেল গাছে নারকেল ধারে না, ফসল ধরে না।
[৬] তিনি বলেন, আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। উজাড় করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে একটি গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
[৭] এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সারসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসটি/এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :