বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে বিয়ে করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এক যুবক ও বিয়ের ঘটক। এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রোববার। প্রতারণা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শনিবার রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার সাজু মিয়া জয়পুরহাট আক্কেলপুর উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে। বিয়ের ঘটক মো. আজম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার জপিন উদ্দিনের ছেলে।
রোববার এই ঘটনায় মেয়ের মা লাবণী আক্তার বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা করেন। পরে শনিবার রাতে আটক হওয়া প্রতারক সাজু ও ঘটক আজমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে আদমদীঘির উপজেলার ছোট আখিড়া গ্রামে ঘটক আজমের বাড়ি থেকে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় পুলিশ পরিচয়ধারী সাজুর কাছ থেকে পুলিশের পোষাক হ্যান্ডকাপ ও পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাজু মিয়াকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে উপজেলার দমদমা গ্রামে আসাদুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন ঘটক আজম। মেয়ের পরিবারকে জানানো হয় সাজু নঁওগায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের কথায় মেয়ের মা লাবণী আক্তারের সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি আদমদীঘি থানায় জানান। পরে পুলিশ সাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সে একজন প্রতারক। পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করাই সাজুর তার পেশা।
আদমদীঘি থানার ওসি মো. জালাল উদ্দীন বলেন, সাজু পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিল। তিনি পেশাদার প্রতারক। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।