রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ফিশারিঘাট এলাকায় শ্রমিকদের মাঝি মো. আবু তৈয়বকে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে খুনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে নিজেদের হাতে খুনের বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেছিল হত্যাকারীরা।
[৩] কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
[৪] তিনি আরও বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ডেকে এনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আবু তৈয়বকে। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আক্তার প্রকাশ কসাই আক্তার। ডিসি মেহেদী হাসান বলেন, অধিকতর তদন্তে হত্যার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে, মূল হোতা আক্তারকে গ্রেফতারের পর অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজনের তথ্য আমরা পেয়েছি তারা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
[৫] গ্রেফতার হওয়া ৭ জন হলো, আক্তার হোসেন প্রকাশ কসাই আক্তার, মো. সাইফুদ্দীন, মো. রায়হান উদ্দিন প্রকাশ রানা, আশরাফুল ইসলাম, মো. সবুজ, মো. আবু তাহের প্রকাশ কালু ও হাসিনা। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে খুনের শিকার তৈয়ব মাঝি কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকার মাস্টার হাট এলাকার আহমদ মিয়ার সন্তান। তৈয়ব মাঝির ভাতিজা ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. হোসেন বলেন, বাকলিয়ার বেড়া মার্কেট এলাকায় তৈয়ব মাঝির সাথে ঘর মালিক কসাই আক্তার ও তার ঘরের ইনচার্জ হাসিনার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার ঠিক এক ঘণ্টা পর তৈয়বের উপর হামলা করেন তারা। একপর্যায়ে ছেলের সামনেই ভাতিজা তৈয়ব মাঝির উপর হামলা চালানো হয়। দুই ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে বেড়া মার্কেট এলাকায় কসাই আক্তারের ভাড়া ঘরে তৈয়ব মাঝি থাকতেন। তিনি লেবার দিয়ে ফিসারিঘাটে ফিশিং ট্রলার থেকে মাছ নামানোর কাজ করতেন বলেও জানান ভাতিজা মো. হোসেন।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন, বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান উপ-কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান। সম্পাদনা: সাদেক আলী