অনির্বাণ আরিফ : ইতোমধ্যেই একটি চমৎকার কাজ হয়ে গেছে। শাকিব আল হাসানের ছোট মেয়েটিকে যারা চোখ দিয়ে ধর্ষণ করেছে তাদের প্রত্যেকের আইডি এবং এড্রেস পুলিশের ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোতে জমা পড়েছে। আর কাজটি হয়েছে অনলাইন অ্যক্টিভিস্টদের সম্মিলিত প্রতিবাদের কারণে। এ চমৎকার উদ্যোগটির পক্ষে সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষ রয়েছেন কিন্তু কোটা নেতা নুরুল হক নূরুর কিছু মুরিদানরা এ কাজের ভেতরও ফ্যাসিবাদ খুঁজে পেয়েছেন। মানে ধর্ষকদের বিচারেও তারা ফ্যাসিবাদ দেখে। অবশ্য রাজাকারের বিচারকেও এরা এভাবেই ব্যাখ্যা করেছিলো। তাতে কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। এখনো হবে না।
বাংলাদেশের অনলাইন পোর্টালগুলো এবং নিউজ লিংকগুলোর কমেন্ট বক্সে প্রতিদিন অসংখ্য অসুস্থ মানুষ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়, জেন্ডার সেনসেটিভ ইস্যু নিয়ে নোংরা মন্তব্য করে, মিথ্যা, গুজব এবং অশ্লীল বাক্য দিয়ে যেকোনো মানুষের মহৎ কাজকে ইগনোর করে। অথচ এ বিষয়ের কোনো উপযুক্ত পানিশমেন্ট নেই। আসুন আমরা সবাই মিলে এখন থেকে যেকোনো মিথ্যা, গুজব, উস্কানিমূলক প্রোপাগাণ্ডা এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়ায় এমন সবগুলো পেইজ, গ্রুপ, আইডি শনাক্ত করি, প্রয়োজনে স্কিনশর্ট দিয়ে ভাইরাল করে দিই তাহলেই কিন্তু এ জঘন্য এবং মানসিক বিকারগস্ত উন্মাদের দৌরাত্ম কমবে। ফেসবুকে কী হয়? ফেসবুকে অনেক কিছুই হয়। এই যেমন শাকিব আল হাসানের মেয়েকে চোখ দিয়ে ধর্ষণকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে। ফেসবুক থেকে