শিরোনাম
◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৪ দুপুর
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে ছাত্রদের শিক্ষা ঋণ শুধুই বিজ্ঞাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ: শিক্ষা উপমন্ত্রী

মহিবুল হাসান চৌধুরী: দেশে অনেক ব্যাংক হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সবার চেষ্টা একটি একাউন্ট খুলে দিয়ে শুধুই ডিপোজিট সংগ্রহের দিকে। জনগণের ক্ষুদ্র সঞ্চয় দিয়ে, বড় বড় বিনিয়োগেই তাদের বেশি আগ্রহ। সাধারণ মানুষের ভোগ সক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য, ব্যক্তি পর্যায়ে ভোক্তা ঋণ সুবিধা, ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসা বা শিল্পে অর্থায়নে ব্যাংকগুলোর তেমন আগ্রহ দেখা যায় না, যা দেখা যায় নামমাত্র। শাখা সমূহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নির্বাহীদের বিশাল বেতন ভাতা, পরিচালকদের পেছনে বিশাল অংকের টাকা খরচে যতোটা তারা আগ্রহী, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মূল শর্ত, সাধারণ মানুষের ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষুদ্র মাঝারি অর্থায়নে ততোটা আগ্রহী তারা নয়। সব ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের নির্বাহীরা সবাই আসলে বাস্তবে বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার। রিটেইল ব্যাংকিং পর্যায়ে ডিপোজিট সংগ্রহকেই তারা মনে করেন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, অর্থায়নে নয়। আমাদের টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় হিসাব খুললেও আমাদেরই থাকতো না খুললেও আমাদেরই থাকতো।

আমি হিসাব খুলে শুধু টাকা ব্যাংকে দিয়ে আসি, ব্যাংক আমাকে কি ঋণ সুবিধা দেয় ব্যক্তি পর্যায়ে? আমি এখনো জামানতবিহীন ২০,০০০ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার ঋণ পেয়েছেন এমন একজনকেও পাইনি। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাপারে অনেক আগেই অনুমতি দিয়েছে। হয়তোবা কাগজে কলমে এই জামানতবিহীন ঋণের অস্তিত্ব আছে, কিন্তু এরা এতই বিরল, চোখে দেখা যায় না। করোনা মহামারির অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার অন্যতম কৌশল সাধারণ ব্যক্তির ভোগ সক্ষমতা বাড়ানো, যার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ভোগের খাত বৃদ্ধি পাবে। ধনী ব্যক্তির ভোগ সক্ষমতা আরো ঋণ দিয়ে বাড়ানোর চাইতে সাধারণের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করলে ব্যাংকগুলো সাধারণ মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ভোগ আরো শক্তিশালী হবে। তবে বর্তমান প্র্যাক্টিস হলো হবিগঞ্জ থেকে সঞ্চয় নিয়ে, গুলশানের ব্যবসায়ী কে ঋণ দেয়া।
দামি গাড়ি বাড়ি ঘড়ির লোক না হলে ব্যাংক অর্থায়ন করে না। বিদেশে আমরা দেখি ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা ছাত্র অবস্থাতেও টাকায়

২০,০০০ থেকে দশ লাখ টাকা সম্পূর্ণ বিনা জামানতে ক্রেডিট স্কোরের ভিত্তিতে ঋণ পেয়েছি। ঋণ নিয়ে অনেকেই পড়াশোনা করেছে, নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছে। দেশে ছাত্রদের শিক্ষা ঋণ শুধুই বিজ্ঞাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, অথচ লেপটপ, কম্পিউটার কিনতে, টিউশন ফি দিতে, অনেক কিছুতেই ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারে, কিন্তু গরিবের সঞ্চয়ের অর্থে ধনীর গাড়ি কিনতে ঋণ দিতেই তাদের আগ্রহ বেশি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়