রাশিদ রিয়াজ : [২] কোভিডে খাদ্য, ওষুধ ও তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নাবিকদের কাজের মেয়াদ কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হয়। ডাঙ্গায় আটকা পড়া ২ লাখ নাবিক ফের দায়িত্ব বুঝে নিতে পারছেন না। বিশ্বে ১২ লাখ নাবিক পালাক্রমে জাহাজ পরিচালনা করে। সিএনএন
[৩] ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন বলছে তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের চুক্তি শেষ। নাবিকদের অধিকার আদায়ের ইউনিয়নগুলো তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে বিশ্বে বাণিজ্যের গতি হ্রাস পাবে, পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে।
[৪] আঙ্কটাডের হিসেবে ৮০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয় জাহাজে। কোভিডের কারণে এয়ারলাইন্সগুলো বন্ধ হওয়ায় নাবিকরা আটকা পড়েছে। বিভিন্ন বন্দর বন্ধ হয়ে পড়ায় মালামাল খালাস হয়নি। কোনো কোনো নাবিক দেড় বছরের বেশি সময় জাহাজে অবস্থান করছেন।
[৫] ফেডারেশনের সভাপতি ডেভ হেইনডেল বলছেন জাহাজগুলো ভাসমান কারাগারে পরিণত হয়েছে যেখানে নাবিকরা ক্লান্ত, মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ও নিরাপত্তার কারণে তারা জাহাজ চালাতে চাচ্ছেন না। বিভিন্ন দেশের বন্দরে তাদের গতিবিধির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে, এমনকি তাদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করছে।
[৬] বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং কনটেইনার কোম্পানি মায়েরস্ক’এর প্রধান কারিগরী কর্মকর্তা পালে লার্সন জানান তাদের ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬৬’শ নাবিক জাহাজে আটকা পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :