শিরোনাম
◈ গাজায় বোমা হামলা, চার ইসরায়েলি সেনা নিহত ◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতির জনকের দেখানো পথে হাঁটলে কখনো পথ হারাবে না বাংলাদেশ

অধ্যাপক ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলি : বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে। নিহত না বলে বলা যায়, হত্যা করা হয় তাকে। কিছু বর্বর, মানুষ হত্যা করে এ দেশের ¯্রষ্টাকে। রাজনীতির কবি মহান মুজিবকে। জনগণের প্রকৃত বন্ধু, বন্ধুবন্ধুকে। কীভাবে জনক হত্যার ক্ষতি ও ক্ষত সম্পর্কে লিখবো। কীভাবে বোঝাবো কী ক্ষতি নিজেরাই আমরা করেছি মহান এই মানুষটি হত্যা করে। কী করেনি এই মানুষটি আমাদের জন্য, এ ভূখ-টি আমাদের জন্য নিশ্চিত করার জন্য।

 

বঙ্গবন্ধুর যাপিত জীবন ছিলো প্রায় পঞ্চান্ন বছর, জেল খেটেছেন প্রায় চৌদ্দ বছর। জীবনের চৌদ্দটি মূল্যবান বছর জেলে জেলে, অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। কেন? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পেরেছিলেন কী তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে? তা আর বলার অপেক্ষা রাখে। ইতিহাস সাক্ষীÑ জনকের অঙুলি হেলনে কেঁপে উঠেছিলো পাকিস্তানি শাসকের মসনদ। ফলাফল তো ইতিহাস, মাত্র নয় মাসে মুক্ত স্বাধীন বাংলার এই পবিত্র ভূখ-। বিশ্ব ইতিহাসে কয়টি রাষ্ট্র আছে সশস্ত্র যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে? হাতেগোনা। তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে। রক্ত¯্রােতেও তাদের ভীত করতে পারেনি। শত্রুর চোখে চোখ রেখে লড়েছে। জয় এসেছে। বিজয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ তার স্থপতিকে হারায়। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। সামরিক স্বৈরশাসকেরা দীর্ঘ তেইশ বছর শাসন করেছে এ দেশকে। এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পেছনের দিকে হেঁটেছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ উল্টো ধারায় চলেছে।

 

যে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হলো, সেই স্বৈরশাসকদের ভূতই যেন ফিরে এলো স্বাধীন রাষ্ট্রে। জনককন্যা ক্ষমতায় এলে সব প্রতিবন্ধকতা সরানোর দায়িত্ব নেন। মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বঙ্গবন্ধু গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন মানুষ। কিন্তু সাধারণ মানুষ থেকে কীভাবে অসাধারণ হয়ে উঠা যায় তার বড় উদাহরণ পৃথিবীতে তিনি তৈরি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে যে ক্ষত ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো বাংলাদেশ, তা কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তার আদর্শ অনুসরণ ও চর্চায় আমরা আমাদের এগিয়ে নিতে পারি। তার দৃঢ়তা, বিশ্বাস ও গভীর দেশপ্রেমে নিজেদের আমরা উজ্জীবিত করতে পারি। এটি যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কখনো পথ হারাবে না বাংলাদেশ। লেখক : শিক্ষাবিদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়