আবু রুশদ, ফেসবুক থেকে: রাশিয়া থেকে এই সরকারের আমলে ১৬ টি ইয়াক-১৩০ জেট প্রশিক্ষণ ও গ্রাউন্ড এটাক বিমান আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। এজন্য এই বিমানগুলোর খুচরা যন্ত্রাংশ যেমন ঠিকমতো আনা যায়নি তেমনি অন্যান্য সার্ভিসিংয়েও সমস্যা দেখা দেয়।
আজকের দুর্ঘটনার আগে আরো ৩টি ইয়াক-১৩০ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয় ও ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। তবে ওইসব ঘটনায় পাইলটরা বেঁচে গিয়েছিলেন। এখন তাহলে ইয়াক বিমান থাকলো আর ১২ টা।
আজ দুঃখজনকভাবে দুইজন পাইলটের একজন নিহত হন। নিহত পাইলট অত্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন পাইলট ছিলেন। যান্ত্রিক ত্রুটিই এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইয়াক সাধারণত জঙ্গি বিমান চালকদের এডভান্সড প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়। তবে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।
রাশিয়া ইয়াক-১৩০ বিমান মায়ানমারেও সরবরাহ করেছে।
আমাদের বিমান বাহিনীতে বিশ্বমানের পাইলট ও অফিসারের কমতি নেই। কিন্তু প্রায় সব জঙ্গি বিমান পুরনো আমলের। জরুরি ভিত্তিতে বিমান বাহিনীর এদিকে নজর দেয়া দরকার। যেভাবেই হোক আধুনিক জঙ্গি বিমান সংগ্রহ এখন সময়ের দাবি।
আল্লাহ নিহত পাইলটকে বেহেশত নসিব করুন।
আপনার মতামত লিখুন :