শিরোনাম
◈ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের একটা লোকও মারা যাবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করতে সিএজি’কে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ  ◈ নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বেনজীর আহমেদ যে কোনো দেশে যেতে পারেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রী ◈ আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে: যুক্তরাষ্ট্র ◈ জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে: ওবায়দুল কাদের ◈ ভুটান বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ফি কমিয়েছে ◈ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি ফিরিয়ে দিলেন শহিদুল আলম ◈ মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্লদিয়া শেইনবম নির্বাচিত ◈ টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরী ◈ আফতাব নগরে গরুর হাট বসবে না: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৪, ০৫:৩৫ বিকাল
আপডেট : ০৯ মে, ২০২৪, ০৪:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি গার্মেন্টসের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি

এম খান: [২] বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের, তার সমাধান হিসাবে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছে। সূত্র: বিবিসি

[৩] ভারতীয় রপ্তানিকারকদের একাংশ থেকে দাবি উঠছে যে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্য  যা দিল্লি বিমানবন্দরের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলিতে পাঠানো হচ্ছে, তার ওপরে একটা ‘ল্যান্ডিং চার্জ’ বসানো হোক।

[৪] কিন্তু এ বিষয়ে অ্যাপারেল ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বিবিসিকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশি পণ্যের ওপরে ল্যাণ্ডিং চার্জ লাগালে তাতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কোনও সুবিধাই হবে না। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের বাড়তি খরচ হবে, কিন্তু তাতে আমাদের তো কোনও লাভ নেই। ওই ল্যাণ্ডিং চার্জ তো যাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে।’

[৫] ‘আমরা সরকারের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনা করেছি। যেটা সরকারের করা উচিত, তা হল পরিকাঠামো উন্নত করা, পণ্যবাহী বিমান ভারতে আসার ব্যাপারে যেসব নিয়ন্ত্রণ চালু আছে, সেগুলো তুলে নিয়ে আরও বেশি বিমান এখানে আসার ব্যবস্থা করা।

[৬] এদিকে, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজিএমইএ-ও ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মতোই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, দিল্লি বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নত করলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

[৭] তবে, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস-এর সহ সভাপতি ইশরার আহমেদ বলছিলেন, “অবশ্যই ভারতীয় পণ্যই রপ্তানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। আমরা সরকারের সঙ্গে কথাও বলছি। তবে এখন নির্বাচন চলছে। আমরা আশাবাদী যে নির্বাচন মিটলে এর একটা সমাধান বেরবে।“

[৮] এ বছরের প্রথম তিন মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে - যার নয় শতাংশই বাংলাদেশের পণ্য।"

[৯] লোহিত সাগর অঞ্চলের সমস্যার কারণে ভারতীয় অনেক রপ্তানিকারকও বিমানে পণ্য পাঠাতে চেষ্টা করছেন, আবার এর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও রপ্তানির জন্য বেশি পরিমাণে পণ্য আসছে।

[১০] এই দুইয়ে মিলে দিল্লি থেকে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের বাড়তি মাশুল দিয়ে কার্গো বিমানে জায়গা নিতে হচ্ছে।

[১১] ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বলছেন, “গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে দিল্লি থেকে ইউরোপে পণ্য পাঠানোর মাশুল যেখানে দিয়েছি কিলো প্রতি ৮০ থেকে ১২০ ভারতীয় রুপি, সেখানে এখন আমাকে দিতে হচ্ছে কিলো প্রতি ২৮০ থেকে ৩৭০ ভারতীয় রপি,” বলছিলেন দিল্লি বিমানবন্দরে এক রপ্তানি এজেন্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়