শিরোনাম
◈ গাজায় বোমা হামলা, চার ইসরায়েলি সেনা নিহত ◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদের কেনাকাটা নয়, ইফতারের অপচয় নয়, হাফেজ ইমামরা যেন সম্মানী পান, মানুষ যেন খাবার পায়

পীর হাবিবুর রহমান : বিষাদগ্রস্ত করুণ বিপর্যয়ে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। করোনার ত্রাসে মানবজাতি ভয়ংকর ধ্বংসলীলার মুখে। আমাদের দেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সবসময় পবিত্রতার সঙ্গে এ মাসে রোজা, নামাজ, সিয়াম সাধনা, আল্লাহর এবাদত বন্দেগী শেষে সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতেন। রমজানে রোজ রাতে তারাবির নামাজ জামাতে পড়তেন। ইফতারের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা উপহার বিনিময় ও দানখয়রাতে উৎসবের আনন্দও ছিলো। এবার করোনার ভয়াবহতা নিষেধাজ্ঞা নিরাপদ দূরত্ব বা সঙ্গরোধ আইসোলেশন ঘিরে আছে। স্থবির বিষাদগ্রস্ত সময় ও মনে আল্লাহর কাছে এই অভিশাপ থেকে মুক্তির মোনাজাতে থাকবে আকুতি, ঝরবে অশ্রুবিন্দু। রোজা, নামাজ, ঈদ সব হবে। কেবল চাকচিক্য রূপ আর অপচয় হবে না। রমজান মাসে আমরা যেমন সিয়াম সংযমের বিধান লঙ্ঘন করে অপচয়ে শামিল হয়েছি, তেমনি একদল অসৎ ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মুনাফা লুটেন। এবার আমাদের অপচয় করোনার আঘাত বন্ধ করলেও মুনাফাখোরদের লোভ কমেনি। বেড়েছে। রোজার আগেই তাই বাজার গরম। আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। আমাদের মাফ করুন। আমাদের মুসলমান যারা মসজিদে মসজিদে যে কোরআনে হাফেজের ইমামতিতে তারাবির নামাজ পড়তেন তাকে রমজানের শেষে বড় অঙ্কের সম্মানী দিতেন। এবার মসজিদে তারাবি হবে না। হলেও ১২ জনের বেশি কেউ যাবেন না। আশা করবো ঘরে নামাজ আদায় করলেও ইমাম মোয়াজ্জিনদের সাহায্যে সব মুসল্লি সামর্থ্য অনুযায়ী সম্মানীদানে অকৃতদার হবেন। তাদের জীবন অনেক সম্মানের হলেও আর্থিক টানাপোড়েনের।
আমরা ইফতারের মহাআয়োজন, বিশাল ইফতার পার্টি, কেনাকাটা উপহারের অপচয়ে এবার যাবো না। সে টাকা গরিবের হাতে তুলে দিলে তার ঘরে খাবার আসবে। আল্লাহর কাছে এটাও অনেক বড় এবাদত। গরিব আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, পাড়া প্রতিবেশী, স্বজন, এলাকার পরিচিত অপরিচিত যেখানে যা পারেন দিন। অনেকে মুখ খুলে চাইতেও পারে না। কঠিন সময় তার। তার পাশে দাঁড়ান। করোনায় মানুষের পাশে কেবল সরকারই নয়,মানুষও দাঁড়িয়েছে। মানুষের শক্তি অনেক বড়। আসুন সবাই মিলে বাঁচি, রোজা ও ঈদ করি। অনেক আনন্দের তৃপ্তির হবে। আল্লাহও খুশি হবেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়