শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নায়ক রাজ্জাক কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পড়ে ১৯৬৪ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন

মাজহারুল ইসলাম : অচেনা পরিবেশে প্রথমদিকে কিভাবে জীবন চালিয়ে নেবেন সে দুশ্চিন্তার আঁধারে ডুবে যান। তখন অভিনয় ছাড়া অন্য কোনও কাজে তেমন আগ্রহ পাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকায় ‘উজালা’ সিনেমায় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে তার হাতে খড়ি হয়। এরপরের ইতিহাস বর্ণাঢ্য আর গৌরবের। সূত্র : যুগান্তর

এক সময় তিনিই পরিণত হয় বাংলার নায়ক রাজ হিসেবে। ৬০ থেকে ৮০'র দশক পর্যন্ত দাপিয়ে বেরিয়েছেন ঢাকাই ছবির পর্দায়। পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কলকাতার থিয়েটারে অভিনয় করার মাধ্যমে তার অভিনয় জীবনের শুরু। সিনেমার নায়ক হওয়ার অদম্য স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়ে রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়ে সিনেমার ওপর পড়াশুনা ও ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন। এরপর কলকাতায় ফিরে এসে শিলালিপি ও আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেন।

৬০’ এর দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় অভিনয় জীবনের সূচনা করেন। এরপর নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়করাজের যাত্রা শুরু হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

৬০-এর দশকের শেষ থেকে ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার চূঁড়ায় ওঠেন তিনি। একে একে নায়ক হয়েছেন ৩’শরও বেশি চলচ্চিত্রে। রাজ্জাক অভিনীত দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে ‘নীল আকাশের নিচে, ময়নামতি, মধুমিলন, পিচঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেয়া, কী যে করি, অবুঝ মন, রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম ইত্যাদি।

সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন রাজ্জাক। প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ ছবিটি দিয়ে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিলো শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্র নায়িকা নূতন।

নায়করাজ সর্বশেষ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘আয়না কাহিনী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন। এরপর আর নতুন কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণে তাকে দেখা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়