মহসীন কবির: একটি বিবাহবিচ্ছেদ সারা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে। ২৫ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ ঘটেছে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের। এর মূলে সাবেক টিভি উপস্থাপিকা লরা সানচেজ। তার সঙ্গে জেফের চুটিয়ে প্রেম তছনছ করে দিয়েছে ম্যাকেঞ্জির সংসার। মনের ওপর তাতে প্রচণ্ড চাপ পড়েছে ম্যাকেঞ্জির। বিচ্ছেদের ফলে তিনি অ্যামাজন থেকে বা স্বামীর কাছ থেকে পাওনা হিসেবে পেয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা।
এখন খবর হলো, তিনি এই অর্থের অর্ধেক অর্থাৎ এক লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দান করে দেবেন একটি দাতব্য সংস্থায়। এ জন্য ম্যাকেঞ্জি ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ ক্লাবে স্বাক্ষর করেছেন। এটি বিশ্বের ওইসব সম্পদশালীর ক্লাব, যারা তাদের অর্জিত অর্থের কমপক্ষে অর্ধেক বা তারো বেশি দান করে দিতে চান। এ ক্লাবে নিজের নাম লিখিয়ে ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, আমার কাছে অঢেল টাকা রয়েছে। এত টাকা দিয়ে কি করবো। এই ক্লাবে রয়েছেন বিল গেটস এবং মিলিন্দা গেটস। তারাও এই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হয়েও এতে যুক্ত হন নি জেফ বেজোস।
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক টুইটে জেফ বেজোস বলেছেন, ‘‘বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় উদারতা ও সহযোগিতা করার জন্য আমি ম্যাকেঞ্জির প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে বন্ধু ও সন্তানের বাবা-মা হিসেবে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে বলে আশা করছি।’’ অন্যদিকে ঔপন্যাসিক ম্যাকেঞ্জি টুইটে বলেন, ‘‘অতীতের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। এখন ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি উত্তেজিত।’’
গত জানুয়ারিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপিকার সঙ্গে জেফ বোজোসের প্রেমের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অ্যামাজনের সিইও।
উল্লেখ্য, লরা সানচেজের আগে বিয়ে হয়েছিল হলিউডের মেগা এজেন্ট বলে পরিচিত প্যাট্রিক হোয়াইটসেলের সঙ্গে। তিনিই লরাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জেফ বেজোসের সঙ্গে। তারপর লরার প্রেমে পড়ে যান বিশ্বের এক নম্বর ধনী জেফ বেজোস।
আপনার মতামত লিখুন :