শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ০৯:১৯ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ০৯:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব ছাতক সিমেন্ট কারখানা বন্ধ

সাত্তার আজাদ, সিলেটে : বৃহত্তর সিলেটের ছাতকে অবস্থিত দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব সিমেন্ট কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। ছাতক সিমেন্ট কারখানার অভ্যন্তরের ৪ টি সিমেন্ট মিল অকেজো হয়ে পড়ায় উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০ মার্চ থেকে ছাতক সিমেন্ট কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। অপরদিকে টাকা জমা দিয়েও ডিলাররা সিমেন্ট পাচ্ছেন না। এতে ব্যবসায়ীদের বড় ধরণের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূল কারখানায় স্থাপিত ৪ টি মিলের মাধ্যমে সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়। ইতিমধ্যে দুটি সিমেন্ট মিল (৫০৪ ও ৫১৬) অকেজো হয়ে পড়ায় দু’বছর ধরে অন্য দুটি মিল মেরামতের মাধ্যমে কারখানার উৎপাদন সচল রাখা হয়েছিলো। এরমধ্যে একমাস আগে ৫১০ মিলটি বিকল হয়ে পড়লে ৫২১ মিল দিয়েই কারখানায় নামেমাত্র উৎপাদন হতো। বর্তমানে এ মিলটিও অকেজো হওয়ায় কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে।

ব্যক্তি মালিকানায় ১৯৩৭ সনে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোম্পানি নামে এ কারখানাটি ছাতকে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৬ সন থেকে কারখানা ইপিআইডিসি’র নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে বিএমওজিসি, পরে বিএমইডিসি এবং সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ১ জুলাই থেকে বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এক সময় ছাতকের সিমেন্ট রপ্তানিও করা হতো। মিলটিতে উৎপাদনও হতো আশানুরূপ। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। পরবর্তীতে কমতে শুরু করে কারখানার উৎপাদন। ছাতক সিমেন্ট কারখানার পাশেই বহুজাতিক বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি স্থাপনের পর থেকে লোকসানের মুখে পড়ে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। আর প্রতিবছরই বিশাল অংকের মুনাফা গুনছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি।

ছাতক সিমেন্ট কারখানায় বর্তমান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা দৈনিক ৫০০ মে.টন। কিন্তু বন্ধ হওয়ার আগের দিনে উৎপাদন হতো দু থেকে আড়াইশ’ মে. টন সিমেন্ট। ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে কারখানাটি লোকসানমুখি হয়ে পড়ে। এ অর্থ বছরেই কারখানাকে লোকসান গুনতে হয়েছে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ক্রমান্বয়ে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ও ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২১ কোটি টাকা।

২০১১ সালে ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনিকায়নে ৬শ ৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। বিসিআইসি’র কারখানাটি আধুনিকায়নে ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন এন্ড এক্সপেনশন (বিএমআরই) প্রকল্পের কাজ শুরু করে। বিএমআরই সম্পন্ন হলে এ প্রকল্পে ড্রাই প্রসেসের মাধ্যমে বছরে ৩ লাখ মেট্রিক টন ক্লিংকার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে বছরে ৭৬ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়